এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছে। খুব শীঘ্রই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। অক্টোবরের প্রথম দিকে মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। হাতে আছে দেড় মাস সময়। শেষ মুহূর্তে কিভাবে পড়া উচিত তা দেখে নাও একনজরে।
মেডিকেলে চান্স পেতে হলে মূল টেক্সট বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। অনেকেই হয়তো এইচএসসির পর গত দুই মাসে টেক্সট বইয়ের অর্ধেকের বেশি পড়ে ফেলেছো।
বায়োলেজিতে বেশি গুরুত্ব দাও। বোটানি ও জুওলজি থেকে ৩০টি প্রশ্ন আসে। এই অংশে ভালো করার বিকল্প নেই। বোটোনির কঠিন অধ্যায়গুলো বেশি করে পড়তে হবে। বক্স, বোল্ড লাইন, বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার - বারবার পড়তে হবে। বর্ণনা, ব্যাখ্যা, আলোচনামূলক কথাবার্তা এমন যে অংশগুলো থেকে এমিসকিউ প্রশ্ন করা যায় না তা পড়ার দরকার নেই।
ভর্তি পরীক্ষায় রসায়ন থেকে ২৫টি প্রশ্ন থাকে। কেমিস্ট্রি কিছুটা কঠিন এবং এমসিকিউ হিসেবে আরো কঠিন মনে হয়। তাই পরীক্ষায় মূল পার্থক্য করে দিবে কেমিস্ট্রি অংশে প্রাপ্ত নম্বর। কেমিস্ট্রিতে ভালো করতে হলে বক্স, বোল্ড লাইন, বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার, সংখ্যামূলক তথ্য ভালোভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি ছোট ছোট গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞানে থাকবে ২০টি প্রশ্ন। একটু ভালোভাবে পড়লে ফিজিক্সে ২০ এর মধ্যে প্রায় পুরো নম্বরই তোলা সম্ভব।
ইংরেজিতে গ্রামারের রুলস ভালোভাবে পড়তে হবে। মুখস্ত ধরনের পড়াগুলো ভুল করলেও গ্রামার টাইপের প্রশ্নগুলো যেনো ভুল না হয়। বিগত বছরের মেডিকেল অ্যাডমিশন, ডেন্টাল অ্যাডমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এবং বিসিএস পরীক্ষার ইংরেজিগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। প্রতিদিন এক ঘন্টা সময় নিয়ে একটু একটু করে সাধারণ জ্ঞান পড়তে হবে।
নিজের সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে যাও আর সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করো। তিনি নিশ্চয়ই পরিশ্রমীদের সাথেই আছেন।
ডা. ইব্রাহিম খলিল রনি : এমবিবিএস (ঢাকা মেডিকেল কলেজ) ও মেন্টর, মেডিকেল অ্যাডমিশন কোচিং