দেশের নারী শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) স্কুলের মেয়েদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়ালেখার জন্য টিঅ্যান্ডটি আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ট্যাব দিয়েছে হুয়াওয়ে।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণও বিতরণ করে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের স্কুলগামী মেয়েদের সহায়তা করার জন্যই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে নিজেদের অনেকগুলো কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এর মধ্যে গুরুত্ব দিচ্ছে চারটি বিষয়ের ওপর। বিষয়গুলো হলো ডিজিটাল বিভাজন দূর করা, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্থিতিশীল ও নিরাপদ নেটওয়ার্ক অপারেশন্স ব্যবস্থাকে সমর্থন করা এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কাজ করা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে আমাদের সরকার। বিশেষ করে নারী শিক্ষায় আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি স্তরে নারীদের নিয়োজিত করা প্রয়োজন। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় আইসিটি সল্যুশন দানকারী প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্বেও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। আজ তারা টিঅ্যান্ডটি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিয়েছে। নিঃসন্দেহে এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় উৎসাহ যোগাবে। আমি হুয়াওয়ের এ প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি।’
হুয়াওয়ে টেকনোলিজস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, ‘২০ বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে বেড়ে উঠছে হুয়াওয়ে। এ সময়ে আমারা বাংলাদেশের দ্রুত উন্নতি দেখেছি। এখন বাংলাদেশের একটি ভিশন রয়েছে, যার লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটালাইজড করা। পারস্পারিক সহায়তায় বিশ্বাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে এদেশের ভিশন-২০২১ যাত্রার সঙ্গী হতে চায় এবং নিজের জীবন ও সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে যারা লেখাপড়া করছে, তাদের উৎসাহ দিতে চায়।’
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং চীন খুবই ভালো প্রতিবেশী এবং বন্ধু। বর্তমান অবস্থান এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো উন্নয়নের জন্য দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা করার অভূতপূর্ব সুযোগ রয়েছে। হুয়াওয়ে আজ যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সহায়তার একটি ছোট্ট উদাহরণ। আমি এ উদ্যোগ নেওয়ায় হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করি, নিকট ভবিষ্যতে আরো বেশি সংখ্যক চীনা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের উদ্যোগ নেবে।’
হুয়াওয়ে বিগত ২০ বছরে স্থানীয়ভাবে তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) পালন করে আসছে এবং বাংলাদেশের জনগণকে প্রযুক্তিগত সুবিধা দিতে তারা তাদের সহযোগীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত পাঁচ বছর হুয়াওয়ে বাংলাদেশের তরুণদের মেধা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে তাদের গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ এর আয়োজন করে আসছে এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য হুয়াওয়ে তাদের কিছু সহযোগীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আইসিটি বাস পরিচালনা করছে।