চাঁদপুরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দৌড়ঝাঁপে রয়েছেন সাত নারী। চাঁদপুরে পাঁচটি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে তারা মনোনয়ন ক্রয় ও জমা দিয়েছেন। পুরুষ প্রার্থীর তুলনায় এখানে নারী প্রার্থীদের দিকেও দৃষ্টি রাখছে ভোটাররা।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তিনি এখন বিদেশে। ওই আসনে তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেবী নিজের সহ স্বামীর নামে বিএনপি থেকে দুইটি মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে রয়েছে নতুন চমক। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে পুরুষ মনোনয়ন প্রত্যাশী ত্রাণমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন। কিন্তু একমাত্র নারী মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন জাকিয়া সুলতানা শেফালি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।
চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে পূর্ব থেকেই আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি এবারো মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন। এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা। তিনি চাঁদপুর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী।
চাঁদপুর-৪ আসনে (ফরিদগঞ্জ) আওয়ামী লীগের পুরুষ মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশ কয়েকজন। তবে নারী মাত্র একজন। আর তিনি হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার চাচাত বোন ডা. বদরুন্নাহার। তিনিও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে জেলার মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে এখন পর্যন্ত পুরুষ মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি নারীদের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের এমপি অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম মুক্তা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নাসরিন জাহান শেফালিও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নাসরিন জাহান শেফালি বলেন, ‘মনোনয়ন যাকে দেয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে বলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যদি আমাকে না দিয়ে অন্য কাউকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়, আমি তার পক্ষে কাজ করব।’