জামায়াতের প্রশ্নে অনড় ভারত

বিবিধ, নির্বাচন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 21:04:53

মাত্র ৩৮ দিন পরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কূটনৈতিক সমীকরণ শেষ পর্যন্ত কী হবে তাই নিয়ে চলছে হিসাব নিকাশ। যতো সময় গড়াচ্ছে কূটনীতিক সমীকরণের দিকটিও বেশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্থান কি তা নিয়ে বিশ্লেষকরা দিচ্ছেন নানা মত। কিন্তু জামায়াতের প্রশ্নে অনড় রয়েছে ভারত। নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীকে একবিন্দুও ছাড় দিবে না ভারত বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

অন্যদিকে ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপির কাছে জামায়াত ইসলামী চেয়েছে ৫০টিরও বেশি আসন। কিন্তু এখনও আসন বিন্যাস  হয়নি জোটের।

সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। শহীদ হয়েছেন অনেক ভারতীয় সৈনিক। আর তখন জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো। শুধু তাই নয় স্বাধীনতার যুদ্ধের পর জামায়াত ইসলামীর সমর্থন ছিলো পাকিস্তানের পক্ষে আর ভারতের বিপক্ষে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত নানা কৌশলে জামায়াত ইসলামীর অবস্থান ভারত বিরোধী থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বারাবারই। আর তাই কৌশলী জামায়তের ক্ষেত্রে কোনো ছাড়া দেওয়া হবে না ভারতের পক্ষ থেকে এ কথা দেশটি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলো। আর সেই জায়গায় অনড় রয়েছে ভারত বলে জানা যায়।

অন্যদিকে যে রাজনৈতিক দল জামায়াতের সাথে জোট বাঁধবে বা দলটির প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিবে তাদের দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত। ভারত সূত্রে জানা যায়, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারত প্রভাব ফেলে না। কিন্তু জামায়াত ইসলামীর প্রশ্নে যে রাজনৈতিক দল জামায়াতের সাথে জোট গঠন করবে তাদের দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। আর সেই দলের দিকে ভারতের অবস্থান কি হবে তাও ঠিক হবে জামায়াতের দিকে রাজনীতিক দলটির অবস্থানের বিষয়ে খেয়াল রেখেই।

জামায়াত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির সাথে ৩৫টি আসনে জোটগত নির্বাচন করেছিলো। এবার তার থেকে বেশি আসন দাবি করা হচ্ছে। অন্তত ৫০টি আসন চাওয়া হচ্ছে ২০ দলীয় জোটের কাছে। এ বিষয়ে বৈঠক চলছে। ইতমধ্যেই জামায়াত ৬১টি আসন থেকে মনোনয়ম পত্র সংগ্রহ করেছে। এখন চলছে আলোচনা।

সূত্র আরও জানায়, গত এক মাসে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ জাসদ, তরিকত ফেডারেশন, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কমপক্ষে ১৬টি রাজনৈতিক দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক উভয় প্রক্রিয়ায় আলাপ-আলোচনা করেছেন। নিয়মিত কূটনৈতিক দায়িত্বের অংশ হিসেবেই তিনি এ তৎপরতা চালিয়েছেন। এ আলোচনা চলমান থাকবে বলেও সূত্র জানায়।

অন্যদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির (নির্বাচন কমিশন) পক্ষ থেকে যদি ভারতের পর্যবেক্ষক দল চাওয়া হয় তা দিবে ভারত। তাছাড়া ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলেও জানিয়েছে ভারত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর