নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হলেও 'ঠুঁটো জগন্নাথ' কমিশন সেই ক্ষমতার প্রয়োগ না করে সংবিধান লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার (২১ নভেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পূর্বে যেভাবে প্রশাসন সাজানো হয়েছিল তা সেইভাবেই অক্ষুণ্ন আছে। আওয়ামী লীগের দলবাজ কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। এখন পর্যন্ত কোনো এসপি, ডিসি, ইউএনও বা ওসিকে বদলি করেনি নির্বাচন কমিশন। বরং তফসিল ঘোষণার পর বদলি বা পদায়নে কমিশনের মতামত লাগবে, অথচ এখনও সরকারের চাহিদা অনুযায়ী প্রশাসন পরিচালিত হচ্ছে।’
‘পুলিশ বাহিনীতে কোনো পরিবর্তন না করার জন্য নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সরকারের অনুগত একদল পুলিশ কর্মকর্তা বৈঠক করে এসেছেন। সরকারকে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আনার সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে নির্বাচন কমিশন।’
বিএনপির এই মুখ্যপাত্র বলেন, ‘এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনভাবেই সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। আরেকটি পাতানো নির্বাচনের পথে হাঁটছে কমিশন। নির্বাচন আয়োজনের পুরো দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর উপর অর্পন করেছে হুদা কমিশন।’
‘আওয়ামী লীগের দলীয় লোকদের নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে বাছাই করে তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশ। পুলিশের প্রস্তুত করা তালিকা শুধু চূড়ান্ত করার পথে তাবেদার বর্তমান নির্বাচন কমিশন।’
নির্বাচন কমিশনকে নখদন্তহীন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় ও অনলাইনে পুলিশ কর্তৃক নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করার খবর প্রকাশিত হলে নখদন্তহীন কমিশন রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। ক্ষেত্র বিশেষে অস্বীকারও করছে।’