আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে লড়াই হবে ভাইয়ে ভাইয়ে। আর এ দুই ভাই হচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম)।
এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করতে চান বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। এ আসনে এই দুই প্রার্থীর ছোট ভাই শামীম আল মনছুর আজাদ সিদ্দিকীও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ২০১৭ সালের উপ-নির্বাচনে এ আসনে কাদের সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ঋণ খেলাপির কারণে উচ্চ আদালত তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করেন।
তবে এবারও একই কারণে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। কোনো কারণে তাঁর প্রার্থীতা আটকে গেলে সেক্ষেত্রে তাঁর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী এ আসন থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন লতিফ সিদ্দিকী। ১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালেও বিজয়ী হন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক লতিফ সিদ্দিকী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই লতিফ সিদ্দিকীর। এবার হাসান ইমামন খানকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের অংশগ্রহণ করবেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। মানুষের ভালোবাসা আর দাবিপূরণে লতিফ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অনুসারী মোশারফ হোসেন সিদ্দিকী ঝিন্টু।
১৯৯৬ সালে কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৯ সালে দল থেকে বেরিয়ে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত শওকত মোমেন শাহজাহানের কাছে পরাজিত হন। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই আসন থেকেই পুনরায় নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকী।
২০০১ সালের নির্বাচনে কালিহাতী আসন থেকেও কাদের সিদ্দিকী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন তাঁর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আর বিএনপির প্রার্থী ছিলেন শাহজাহান সিরাজ। দুই ভাইকে পরাজিত করে শাজাহান সিরাজ নির্বাচিত হন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী মনোনয়নপ্রত্র সংগ্রহ করেছেন। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আইনি জটিলতা নিরসণ হলে তিনিই (কাদের সিদ্দিকী) নির্বাচনে অংশ নেবেন।’