কিশোরগঞ্জ-৩: জাপার বিরুদ্ধে আ’লীগের বিদ্রোহ

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 00:13:49

বার বার জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছাড় দেওয়ায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদে উত্তপ্ত কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ, মিছিল, সমাবেশ করেও কাজ না হওয়ায় এ আসনে বিদ্রোহ করেছে আওয়ামী লীগ। জাপার প্রার্থীকে ঠেকাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ডাকসাইটে আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক এমপি ড. মিজানুল হক।

করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ড. মিজানুল হক ছাড়াও আরো দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, অধ্যক্ষ মো. আম্মান খান ও খন্দকার মনিরুজ্জামান নয়ন।

এই আসনের বর্তমান এমপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু জাপার প্রার্থী হিসাবে আবারো মহাজোটের মনোনয়ন পাচ্ছেন। কারণ আওয়ামী লীগ এ আসনটি বাদ রেখে জেলার ছয়টির মধ্যে পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

এদিকে এ আসনে বিএনপির মূল প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক যুদ্ধাপরাধের মামলার আসামী হলে বিদেশে চলে যান। বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস ও করিমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি সাইফুল ইসলাম সুমনকে (বিকল্প) প্রার্থী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ড. মিজানুল হক এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি স্বল্প ভোটের ব্যবধানে চারদলীয় জোট প্রার্থী ড. ওসমান ফারুকের কাছে পরাজিত হন।

২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সাথে আওয়ামী লীগের জোটগত ঐক্যের কারণে আসনটিতে মহাজোটের প্রার্থী হন জাপার মুজিবুল হক চুন্নু। ঐ দুই নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ড. মিজানুল হক। দুই নির্বাচনেই তার প্রতীক ছিল ‘হরিণ'।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বার্তা২৪কে জানায়, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপে এ আসনে তৃতীয় বারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ড. মিজান। জাপার কবল থেকে আসনটি ছিনিয়ে আনতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবির মুখে লড়ছেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর