তরুণ ভোটাররা চায় উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-11 08:31:24

সামনে একাদশ সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে তরুণরা দেখছেন নানা স্বপ্ন। ভোট ভাবনায় বুঁদ হয়ে আছে তরুণ ভোটাররা। তারা চায় উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান।

রাজশাহী অঞ্চলের তরুণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কর্মসংস্থান, তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ, ব্যবসা, শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবে এমন সরকারই চায় তারা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক স্থাপন, ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদান, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী, সফটওয়্যার ফিনিশিং স্কুল ইত্যাদি কার্যক্রমসমূহের দিকে তরুণ প্রজন্মের নজর রয়েছে। এসব উন্নয়নের ফলে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে দ্রুত হাঁটবে বলে মনে করছেন তরুণরা।

এছাড়াও বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতা তরুণদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। দেশের ইতিহাসের যুগান্তকারী অধ্যায় ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ আশার আলো জাগিয়েছে তরুণদের মাঝে। এ মহাকাশ সফলতায় অনেকেই এখন স্পেস সাইন্স নিয়ে পড়াশোনার কথাও ভাবছেন।

এছাড়াও সারা দেশে ৩৫৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, ১০১৩টি বিদ্যুৎবিহীন ইউনিয়নে সৌর-বিদ্যুৎ সহকারে ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার  স্থাপন, ১৪৭টি ইউএনও কার্যালয়ে ইউআইএসসি সদৃশ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, জাতীয় ডেটা সেন্টার টায়ার-৩ (সার্টিফাইড) স্থাপন, জাতীয় ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যশোরে ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার স্থাপন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর-এ ফোর টিয়ার জাতীয় ডেটা সেন্টার স্থাপন, দেশে ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রবর্তন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা কল্পে দেশের সকল জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ৩১টি টার্মিনাল সহকারে নেটওয়ার্ক স্থাপন, ৭টি বিভাগীয় কার্যালয়ে অনুরূপ নেটওয়ার্ক স্থাপন, ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নে ১৮,৪৩৪টি সরকারি অফিসকে একীভূত করে পাবলিক নেটওয়ার্কের আওতায় আনয়ন, সরকারি পর্যায়ে ২৫,০০০টি ট্যাব বিতরণ, ৪৮৭টি ইউএনও কার্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ও আইসিটি টাওয়ারে ওয়াইফাই জোন স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তরুণরা উৎসাহিত হয়েছেন।

আগামীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক এ ধারাবাহিকতা যেন ধরে রাখে তরুনদের এমনই প্রত্যাশা।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে তরুণদের সমর্থন থাকলেও এবারের নির্বাচন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে মনে করছেন তরুণ ভোটাররা। জেলার প্রত্যেকটি আসনেই রয়েছে হেভিওয়েট সব প্রার্থীরা। আর তাই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।

ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীর ইমেজ, কর্মদক্ষতা, জনপ্রিয়তা, সৃজলতা, পরোপকারীতাসহ নানামুখী গুণের কথা মাথায় রাখবেন তরুণরা। এছাড়াও যারা তরুণদেরকে অগ্রাধিকার দেবেন এমন প্রতিনিধিই নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদ পাঠাতে চায় তারা।

পারিবারিক পরিমণ্ডল বা দলীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে উন্নয়নবান্ধব নেতৃত্ব বেছে নিতে চান তরুণরা। তরুণদের চাওয়া-পাওয়ার মূল্যায়ন করবেন এমন নেতা চান তারা। সেক্ষেত্রে দলীয় রাজনীতি বা ব্যক্তিগত মতাদর্শের বাইরের প্রার্থীকেও ভোট দিতে প্রস্তুত দেশের এই ভবিষ্যত কর্ণধাররা।

এ সম্পর্কে রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাকিন আকবর বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত ও মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে যিনি কাজ করবেন তাকেই ভোট দেব।’

রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী বাবর মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে তার সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আমরা এখন গর্ব করে বলতে পারি যে, আমরা এখন মহাকাশে! তাই আমার ভোট ভাবনায় নৌকার অবস্থান সবার আগে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর