উজ্জীবিত আ.লীগের পাশে অপ্রস্তুত বিএনপি

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 22:23:09

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গন। এখন চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস, পাড়া-মহল্লা সব জায়গায় শুধু নির্বাচন কেন্দ্রিক আলোচনা। আর সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কেমন সরকার চাই, কে হচ্ছে আগামীর সরকার এমন আলোচনাই সর্বত্র।

এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য পুরো প্রস্তুত বলে জানিয়েছে স্থানীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের দাবি, বিগত ১০ বছরে সরকার রাজশাহীসহ সারা দেশে যেসব উন্নয়ন করেছে সেগুলোই তাদের প্রচারণার বড় হাতিয়ার।

তবে নির্বাচনের আর মাত্র ২৭ দিন বাকি থাকলেও এখনো দেখা যাচ্ছে না বিএনপি প্রার্থীদের। তারা কিছুটা অপ্রস্তুত। কারণ দীর্ঘ ১০ বছর তারা নিজ এলাকায় অনুপস্থিত ছিল। তাই নির্বাচনে অংশ নিতে নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থীদের। তাছাড়া সারা দেশের মতো রাজশাহীর ৬টি আসনেও একাধিক প্রার্থী থাকায় স্থানীয় নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

রাজশাহী জেলাতে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাজশাহীর ৬টি আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের ৭ জন, বিএনপির ১৬ জনসহ অন্যান্যদল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৫৩টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।

যদিও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ৯ ডিসেম্বরের পর প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা জানা যাবে। মূলত রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে বিএনপি এবার রাজশাহীসহ দেশের অধিকাংশ আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছে।

রাজশাহী জেলার ৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে ১২ জন, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে ৮ জন, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে ১০ জন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ৫ জন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে ১১ জন এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহীতে ভোটের মাঠে এবার আগেভাগেই নেমে পড়েছে আওয়ামী লীগ। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের পর সেখানকার আওয়ামী লীগ পুরোদমে উজ্জীবিত।

রাসিকের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, রাজশাহীর ৬টি আসন ধরে রাখতে রাসিক নির্বাচনকে দৃষ্টান্ত হিসেবে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই রাজশাহী জেলার সবকটি আসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দাবি, গত ১০ বছরে রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে তা এখানকার ইতিহাসে বিরল। আর এই দৃশ্যমান উন্নয়নের কারণেই রাজশাহীবাসী প্রতিটি আসনে আবারো আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরই ভোট দেবে।

অপরদিকে রাজশাহী বিএনপির টার্গেট আসনগুলো পুনরুদ্ধার করা। তবে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলেও রাজশাহীর রাজনীতিতে এখনো অনুপস্থিত রয়েছে বিএনপির অধিকাংশ মনোনীত প্রার্থী। তাছাড়া বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া থাকায় স্থানীয় জনগণের মনে নতুন করে জায়গা করে নেয়াও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তবে বিএনপি প্রার্থীদের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের করা মামলার কারণে তারা ঠিকমতো এলাকায় থাকতে পারেনি। এখনো তারা গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে। এতো কিছু সত্ত্বেও তারা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জনগণ বিএনপিকেই আবার নির্বাচিত করবে বলে জানিয়েছে দলের স্থানীয় নেতারা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নৌকাকে বিজয় করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। নৌকার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর