মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করছেন আলোচিত মকবুল!

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 23:31:55

নৌকা প্রতীকের প্রতি সমর্থন দিতে অবশেষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের আলোচিত স্বতন্ত্র এমপি মকবুল হোসেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে এবারো তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আজ রোববার (৯ ডিসেম্বর) শেষ দিন। আজ বিকেল ৫টার আগেই তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন বলে তার ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, মেহেরপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক গ্রুপ ও বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ছিল। এরা কেউই নির্বাচনী মাঠে সাহিদুজ্জামান খোকনকে সমর্থন দিয়ে কাজ করছিলেন না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে মাঠে নামেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নৌকার জন্য কাজ করতে মকবুল হোসেনকে চাপ দিচ্ছে নেতাকর্মীরা। নৌকার পক্ষে মাঠের নামার একই চাপে রয়েছেন এমএ খালেক। দলীয় মনোনয়ন না থাকায়, এমএ খালেকের মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। শনিবার আপিলে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়।

দ্রুত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নৌকার পক্ষে মাঠে নামার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এমএ খালেক বলেন, ‘আমিতো নৌকার লোক, নৌকার পক্ষেই আছি।’

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়তে অনড় থাকায় মকবুল হোসেনকে নিয়ে কিছুটা বিপাকে নৌকার পক্ষের লোকজন। গত কয়েকদিন এ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী মকবুল হোসেনকে অনুরোধ করতে থাকেন। এতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। আজ বিকেলে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাহিদুজ্জামান খোকনের পক্ষে মাঠে নামবেন বলে জানান তার ঘনিষ্ঠজনরা। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে গাংনীর ভোটের মাঠে সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়ে নৌকার পালে হাওয়া লাগবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাব উদ্দীনের শোচনীয় পরাজয় হয়। মকবুল হোসেনের আসনটি নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে মকবুল হোসেন পান দলীয় মনোনয়ন। তবে বিএনপি প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেককে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলেও তীব্র আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করে মকবুল হোসেনকে দেয়া হয়। ওই সময় দুই হাজার ৪০০ ভোটে পরাজিত হন মকবুল হোসেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিএনপি বিহীন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী এমএ খালেকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে মকবুল হোসেন এমপি নির্বাচিত হন। এবারো তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর