নীলফামারী-২ আসন:  'বিকল্পহীন নূর'

বিবিধ, নির্বাচন

মাহমুদ আল হাসান রাফিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | 2023-09-01 12:50:00

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে বিরাজ করছে নির্বাচনী আবহাওয়া। এই নির্বাচনী আবহাওয়ার  ছোঁয়া লেগেছে উত্তরবাংলার জেলা নীলফামারীতেও। প্রার্থীদের বাইরেও চলছে মাঠে ঘাটে ভোটের লড়াই। লড়াইয়ের পরিধিও বাড়ছে ভোটের তারিখ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে।

নীলফামারী-২ (নীলফামারী সদর) নির্বাচনী এলাকায় চলছে ভোটের সরগরম। এই আসনে লড়বেন আওয়ামী লীগ মনোনিত অষ্টম সংসদ থেকে একাধারে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর। যাকে এই  আসনে ধরা হচ্ছে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে।

গত ১৫ বছরে এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইপিজেড নির্মাণ,সরকারি কলেজে অনার্স কোর্স চালু, মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন, আধুনিক শেখ কামাল স্টেডিয়াম, বহুতল বিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতাল, প্রত্যেকটি রাস্তাঘাট পাকাকরণ, ব্রিজ কালর্ভাট নির্মাণসহ অনেক উন্নয়ন কাজ করেছেন।

মঙ্গা নামক অভাবকে চিরতরে দূর করে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এলাকায় প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প চালিয়ে আসছেন। ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে রোগের ব্যবস্থাপত্রসহ চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা মনে করেন এই আসনে নূরেই আশা, নূরেই ভরসা। বিকল্পহীন আসাদুজ্জামান নূর।

'বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নূর ভাই সবার পরিচিত। শুধু আওয়ামী লীগ কিংবা মহাজোটের নন সব মানুষের। তিনি এলাকার মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন, সফলও হয়েছেন। যার সুফল ভোগ করছে জনগণ। উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখে চলেছেন সেক্ষেত্রে আসাদুজ্জামান নূরের বিকল্প কেউ থাকতে পারে না এমনকি অন্যকোন দলেও নেই' বলে মনে করেন মহাজোটের নেতৃবৃন্দ।

একাদশ নির্বাচন ঘিরে আসাদুজ্জামান নূরের এই আসনে আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের বিকল্প এখন পর্যন্ত কেউ নেই। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে প্রার্থী হয়েছেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মনিরুজ্জামান মন্টু।

নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের  সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ ভাবে নূর ভাইয়ের বিজয় ছিনিয়ে আনবে এবং আগামী দিনে রাজাকার, আলবদর বাহিনীর দোসরদের প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে  যাবে বলে জানান তারা ।

বিএনপি আমলের সমালোচনা করে তারা  বলেন, তাদের সময় নীলফামারী সদরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি হওয়ার কথা। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম তুহিনের কারণে সেটি হলো না। ইপিজেডটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেটি পূনরায় চালু করলেন নূর ভাই। বিএনপির সময়কার আর আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের পার্থক্য সবার চোখের সামনে দৃশ্যমান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নীলফামারীর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ,শিক্ষক  নেতৃবৃন্দ, আলেম-ওলামা নেতৃবৃন্দ, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে বসেছেন।  সকলে নূর ভাইয়ের জন্য কাজ করে আগামী দিনে নীলফামারীকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এই আসনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াত-ই-ইসলামীর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মন্টু নির্বাচন করবে ঐক্যফ্রন্টের শরীক দল বিএনপি'র ধানের শীষ প্রতীকে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আজ তাকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। ভোটের মাঠে তিনিও ভালোই লড়বেন বলে জানান  ঐক্যফ্রন্ট এর শরীক দলের নেতারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর