আওয়ামী লীগ বিপদে আছে বলেই সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে সুপ্রিমকোর্ট বার অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি এ সভার আয়োজন করে।
দুদু বলেন, ‘৩০ তারিখ পর্যন্ত লড়াই আমরা অব্যাহত রাখবো। লড়াইয়ের ফলাফল আগেই বলে দেই। বিএনপি জয়লাভ করবে। জনতা রাস্তায় নেমে আসবে। তার লক্ষণগুলো কি জানেন? আমাদের কাছে অস্ত্র নাই, বোমা নাই। আমাদের এমন কেউ নাই যার নামে মামলা নাই। তারা বিএনপিকে কেনো এত ভয় পায়’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি জননন্দীত দল, মানুষের দল। দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ভালোবাসে। তারেক রহমান এবং শহীদ জিয়াকে ভালোবাসে। এ জন্যই তো তারা (আওয়ামী লীগ) বিপদে আছে বলেই, আমাদের ওপর আক্রমণ করছে।’
বলেন, আপনাদের (সরকারের) কাছে পুলিশ আছে, প্রশাসন, ব্যাংকের টাকা, সেনাবাহিনী আছে আপনাদের কাছে। তারপরও আক্রমণ করেন কেন? আপনি প্রধানমন্ত্রী, আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছে। কি নাই আপনার। আমরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি, তারপরও আমাদের উপর আক্রমণ করছেন। মির্জা আব্বাস যিনি ঢাকার মেয়র ছিলেন, ড. কামাল একটা ভদ্র লোক, বয়স্ক মানুষ, হাটা-চলাফেরায় অসুবিধা, তার উপর আপনি আক্রমণ করলেন। আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না তাদের উপর আক্রমণ করলেন। বাংলাদেশে যদি কোন ভদ্র রাজনীতিবিদ থাকে তিনি হলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁয়ে তার ওপর হামলা করলেন। ভয় আমরা না আপনারা পেয়েছেন। যাকে সামনে পাচ্ছেন তার উপরেই আক্রমণ চালাচ্ছেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ভাই ৩০ তারিখের পর কি হবে? প্রতিবেশীরা এই প্রশ্ন করেন, টকশোতে গেলেও একই প্রশ্ন করেন। তখন বলি ৩০ তারিখ নির্বাচন আর বেগম জিয়া ৪ তারিখে শপথ (প্রধানমন্ত্রীর) নেবেন। যা সত্য, যা স্বাভাবিক, সূর্যের মতো জ্বলজ্বল করছে।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমরা শতভাগ নিশ্চিত এবং আমরা বিজয় দিবস দুটিই পালন করবো। একটি ১৬ ডিসেম্বরের আরেকটি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের বিজয়। ৩০ তারিখ আমাদের ফাইনাল খেলা। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে আমাদের জয়ের কোনো বিকল্প নাই। এ দেশের জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছিল, সম্ভ্রম হারিয়েছিল, তাদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে।’
বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন, মো. জসিম, মাওলানা নেছারুল হক প্রমুখ।