একাদশ সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমন্বয় ও মনিটরিং সেল। এই কমিটি নির্বাচনের দুই দিন আগে থেকে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কমিশনকে অবহিত করবে এবং কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেবে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে কমিশন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, কমিটিতে অন্তর্ভুক্তরা সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় করবেন। সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সিগন্যাল অপারেটর টিম সেটসহ উপস্থিত থেকে সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করবে।
এছাড়াও ভোট কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করবে। পাশাপাশি ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, বিতরণ ও ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা করবে। এই কমিটি রিটার্নিং অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ বিভাগ ও অন্যান্য শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবে।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশন আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেল নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি কমিশনকে অবহিত করবে। পাশাপাশি ভোটের ফলাফল প্রকাশের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। যাতে কেন্দ্রে ডিসপ্লে'র মাধ্যমে ফলাফল দেখা যায়। সে বিষয়টিও কমিশন পর্যবেক্ষণ করবে। নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুম থেকে এসব নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’
কমিশনের গঠিত কমিটিতে জননিরাপত্তা বিভাগের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিম্নের নয়) এক জন, সশস্ত্র বাহিনীর মেজর পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পুলিশ সুপার/ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তা, বিজিবি/ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)/ আনসার ও ভিডিপি/কোস্টগার্ডের মেজর উপ-পরিচালক পদমর্যাদা নিচে নয় এমন একজন করে কর্মকর্তা এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অথবা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত হবেন।