খুলনায় প্রচারে ব্যস্ত আ'লীগ, অভিযোগে বিএনপি

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-10 07:59:28

সারাদেশের ন্যায় খুলনাতেও বইছে ভোটের হাওয়া। পক্ষ-প্রতিপক্ষের আলোচনা-সমালোচনায় সরগরম সর্বত্র। পাড়া, মহল্লায় দিন-রাত চলছে মাইকিং, প্রার্থী ‍ও সমর্থকদের সভা সমাবেশ এবং উঠান বৈঠক। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী এলাকায় এখন টানটান উত্তেজনা। নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থী ও সমর্থকদের হৃদস্পন্দন ততোই বাড়ছে।

খুলনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার ব্যস্ততম শেষ দশ দিন অতিবাহিত করছেন প্রার্থীরা। মৃদু শীত উপেক্ষা করেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা। দুটি প্রধান জোটের একক প্রার্থীদের ভোটের লড়াই জমে উঠেছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলেও ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির প্রার্থীরা বড় একটি সময় পার করছেন অভিযোগে।

নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণায় এসেছে নতুন মাত্রা। ইশতেহারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক দিক তুলে ধরে ভোটারদের নিজ নিজ পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে ভোটারদের সংস্পর্শে গিয়ে উন্নত নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে সুরাহা করার কথাও বলেনেএ মহাজোট প্রার্থীরা।

খুলনা-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী সেখ সালাহ্ উদ্দিন জুয়েল বার্তা২৪কে বলেন, ‘প্রবীণ, প্রতিবন্ধী, অটিজমসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কথা মাথায় রেখে সবার কল্যাণে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছি আমরা। এছাড়া নিরাপদ সড়ক ব্যাবস্থা নিশ্চিত, সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার পরিধি বৃদ্ধি করার মত আরও অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড একাদশ সংসদ নির্বাচনে জিতলে আগামী পাঁচ বছরে বাস্তবায়িত হবে বলে আমি আশা করি। সকল অপপ্রচারের জবাব দেবে জনগণ।’

অপরদিকে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, শুভেচ্ছা বিনিময় আর ধানের শীষে ভোট প্রার্থনার মাধ্যমে একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রচারণায় ব্যস্ততম শেষ দিনগুলো অতিবাহিত করলেও বিএনপির প্রার্থীরা অভিযোগে সময় ব্যয় করছেন বেশি।

খুলনার ছয়টি আসনে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে বিএনপির প্রার্থীরা এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি অভিযোগ জমা দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। যার ভেতরে খুলনা-২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু করেছেন ১৬টি অভিযোগ, খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল করেছেন চারটি অভিযোগ, খুলনা-৪ আসনের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল করেছেন চারটি অভিযোগ। বাকিগুলো অন্যন্যরা করেছেন।

এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগে ফলপ্রসূ কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না মর্মে বিএনপির প্রার্থীরা পৃথকভাবে প্রায় ১০ বার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এ বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের খুলনা-২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বার্তা২৪কে বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করে কোনো সুরাহা হয়নি। সরকারের অধীনে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না বলে ঐক্যফ্রন্ট আগেই অভিযোগ করেছিল। সারা দেশে ধানের শীষের কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, নির্যাতন, গণগ্রেফতার ও দমন-পীড়ন থেকে তার প্রমাণ মিলেছে। খুলনা-২ ও ৩ আসনে গত কয়েকদিনে নির্বিচারে গণগ্রেফতার ও নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা আছে।’

এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর