শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-গোসাইরহাটঘ) আসনের বিএনপির প্রার্থীর মিছিলে হামলা করা হয়েছে। এতে দলটির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপু আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গোসাইরহাট উপজেলা সদরের পট্টি এলাকায় এ হমালার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপির আরো ২৫ কর্মী-সমর্থক আহত হয়। আহত নুরুদ্দিন আহম্মেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে দুপুরেই ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
গোসাইরহাট থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী তারেক রহমানের একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন অপু। তার গ্রামের বাড়ি গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর গ্রামে। সোমবার সকালে নৌপথে দুটি লঞ্চ যোগে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকা থেকে কোদলপুর পৌঁছান। দুপুরে তিনি একটি মিছিল নিয়ে পায়ে হেঁটে উপজেলা সদরের দিকে যান। মিছিলটি পট্টি এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওই মিছিলে হামলা করে। হামলাকারীরা বিএনপির প্রার্থী নুরুদ্দিন আহম্মেদকে পিটিয়ে আহত করেন। তিনি মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন। নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে কোদলপুর ১০ শয্যা মা ও শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
শরীয়তপুর মহিলা দলের আহবায়ক আল আসমাউল হুসনা বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক নেতা-কর্মিরা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করেছে। হামলায় আমাদের প্রার্থীসহ ২৬ জন আহত হয়েছে। ভোটের মাঠ থেকে আমাদের সরিয়ে দেয়ার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে।
নুরুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমাকে মেরে ফেলার জন্য আ.লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালায়,আমাকে কুপিয়ে আহত করে। আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে আমি কিভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাব?
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, গোসাইরহাট উপজেলা শহরে আ.লীগ-বিএনপি দু‘পক্ষ মিছিল করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠাই। ততক্ষণে সংঘর্ষ বেধে যায়। হামলায় বিএনপির প্রার্থী আহত হয়। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের টহল বৃদ্ধি করেছি। বিএনপির প্রার্থীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মিছিল ও হামলার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে আ.লীগের প্রার্থী নাহিম রাজ্জাক বলেন, ওই এলাকায় বিএনপির অন্তকোন্দল রয়েছে। তারা এর আগেও নিজেরা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে,পার্টি অফিস তালা ঝুলিয়েছে। এ হামলার ঘটনাও তারই অংশ। এখন আ.লীগের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।