এএফপি'র দৃষ্টিতে বাংলাদেশের নির্বাচন

বিবিধ, নির্বাচন

সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪ | 2023-08-31 16:02:47

আঁটসাঁট নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের একাদশ সংসদ নির্বাচন। রোববারের নির্বাচনকে ঘিরে দেশে ৬ লাখের বেশি আইন-শৃঙ্খলা কর্মী মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ। সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীন দল ফের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ মসৃণ করে রাখলেও বিরোধী দলের ওপর সরকারি বাহিনী  ও ক্ষমতাসীন দলের দমন নিপীড়নের অভিযোগও অনেক।

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ফ্রান্স ভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব কথা তুলে ধরা হয়েছে।

দেশের সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনে বিরোধী দলের যেকোনো সহিংসতা ঠেকাতে দেশটিতে ৬ লাখের বেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যেখানে র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এই সদস্যরা প্রায় ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা প্রদান করবে। ভোটকেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করে যাবে এই নিরাপত্তা কর্মীরা।

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মারাত্মক সহিংসতার ওপর ভিত্তি করেই এই নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা আমাদের দেশ (বাংলাদেশ) সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। আমরা আশা করছি যে নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করবে।‘

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নেমে গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ।

বিটিআরসি’র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনলাইনে যেকোনো ধরনের গুজব না ছড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে দেশটিতে থ্রি-জি ও ফোর-জি সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত দেশটির নাগরিকরা এই সেবা পাচ্ছে না।

নির্বাচনের পূর্ব সহিংসতায় আওয়ামী লীগের ও বিএনপির ১৩ জনের নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া হাজারের বেশি আহতের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্রে হামলা ঘটনাও অনেক।

তবে দেশটির বিরোধী দল ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করলেও এবার নতুন ঐক্য গড়েছে। এতে ঐক্যসহ দলটি ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা সরকার দেশটিতে তার সরকারের আমলে করা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে দলের নির্বাচনী প্রচারণায় মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। যদিও স্বৈরতন্ত্র নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে, কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার সেটা প্রতিনিয়তই অস্বীকার করে আসছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর