পাবনা-২ সংসদীয় আসন: প্রথম ম্যাচেই ফিরোজের জয়

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪ | 2023-09-01 20:29:36

প্রথম ম্যাচেই পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার) আংশিক আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবিরের জয় হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত এ আসনের ১০৩ টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী একেএম সেলিম রেজা হাবিব পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৮৩ ভোট।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ফিরোজ কবির প্রয়াত সাবেক সাংসদ, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আহমেদ তফিজ উদ্দিনের পুত্র। প্রথমবারেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বাজিমাত করায় খুশি স্থানীয় ভোটারসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা।

জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আসনটি থেকে চারবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি এবং একবার জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে আসনটি থেকে একবার জাতীয় পার্টি দলীয় প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও বিগত নির্বাচনের ফলাফল তথা নির্বাচনী মাঠের বাস্তব অবস্থা অনুযায়ী মূলত আসনটিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তথ্যমতে, পাবনার সুজানগর উপজেলা ও বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-২ সংসদীয় আসন। এই আসনে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৭৮৯ জন। ১৯৯১ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের আহমেদ তফিজ উদ্দিনকে হারিয়ে জয় পায় বিএনপির প্রার্থী ওসমান গণি খান (ওজি খান)। পরেরবার ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৫শ ভোটের ব্যবধানে নৌকার আহমেদ তফিজ উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন ধানের শীষের ওসমান গণি খান। ২০০১ সালে দুই দলেরই প্রার্থী পরিবর্তন হয়। সেবার আওয়ামী লীগের মির্জা আব্দুল জলিলকে প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির অ্যাডভোকেট এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব। ২০০৮ সালে নৌকার নতুন প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারের কাছে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হেরে যায় বিএনপি প্রার্থী এডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কর্মকাণ্ড নিয়ে এ কে খন্দকারের উপর ক্ষুব্ধ হয় আওয়ামী লীগ। আর তিনিও রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ফলে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে আজিজুল হক আরজু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্থানীয় একাধিকজনের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই আসন আওয়ামী লীগের দখলে। প্রার্থী ভেদে নানা উন্নয়ন হয়েছে। বিএনপির সাবেক সাংসদের বিরুদ্ধে ছিল নানা অভিযোগ। স্থানীয়রা বলেন, বিগত সময়ে সেলিম রেজা হাবিব এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর নেমে আসে হামলা-মামলা, জুলুম ও অত্যাচার। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের একজন মারা যাবার পর তাকে নিজ গ্রামের কবরস্থানে কবরস্থ করতে দেয়নি। নানা কারণেই বিএনপি প্রার্থীর সমর্থনে ভাটা পড়ে।

এ ব্যাপারে আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, আসনটি আওয়ামী লীগের। উন্নয়নের ধারা আর জনগণের সেবা প্রদানকারী দল আওয়ামী লীগ। ভোটাররা অনেক সচেতন বলেই তারা দেশ পরিচালনায় যোগ্য দল, যোগ্য প্রতীক তথা যোগ্য ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিজয়ী করেছেন। ফিরোজ বলেন, ভোটাররা শুধু আমাকে ভোট দিয়েই নির্বাচিত করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর