চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিনের ঈগল প্রতীকের প্রচারনায় হামলার ঘটনায় বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারী) স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক মোঃ মহসিন বাদি হয়ে রেজাউল করিম খোকনকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নামে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর তাকে গ্রেপ্তারের জন্য শনিবার রাতে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ বারইয়ারহাট পৌরসভাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সরে যান তিনি।
ঈগল সমর্থিত প্রার্থীর গনসংযোগে হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে রেজাউল করিম খোকনের বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্ট ও নিয়মিত মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ঈগল প্রতীকের সমর্থনে গত ৩০ ডিসেম্বর বারইয়ারহাট পৌরসভায় গনসংযোগ করার সময় হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিনের ঈগল সমর্থিত কর্মী মো. মোহসিন ভূঁইয়া, বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত হোসেন, ইমামুল ইসলাম, সেলিম উদ্দিনসহ কয়েজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় ৩ জানুয়ারী নির্বচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন।
ঈগল সমর্থিত গিয়াস উদ্দিনের কর্মী মো. মোহসিন ভূঁইয়া এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারী জোরারগঞ্জ থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (মামলা নং ৩) দায়ের করেন। মামলায় মেয়র রেজাউল করিম খোকন কে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আবদুল হালিম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার প্রয়াসে নির্বাচনে কমিশনের (ইসি) অঙ্গীকারকে তোয়াক্কা না করে নৌকার প্রার্থীর ঘনিষ্ট কর্মী বারইয়ারহাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও বহু মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী রেজাউল করিম খোকন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাকে, আমার কর্মী ও সমর্থকদেরকে প্রতিনিয়ত হামলা করে যাচ্ছে। গত ৩০ ডিসেম্বর আমার গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরনের সময় সশস্ত্র হামলা চালায় খোকন । এতে আমার একাধিক কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং আবার গণসংযোগ চালালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় বারইয়ারহাট পৌরসভার সাধারণ জনগন ও আমার কর্মীদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন এর লক্ষ্যে নৌকার কর্মী খোকন সহ অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছি।’
এ ছাড়া পুর্বের আরও কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে খোকনের বিরুদ্ধে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী গনসংযোগে হামলার ঘটনায় রেজাউল করিম খোকনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মহসিন নামে একজন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য শনিবার রাতে কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি সরে যান।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী গনসংযোগে হামলার ঘটনায় মামলা ছাড়াও বিভিন্ন মামলায় একাধিক ওয়ারেন্ট এবং নিয়মিত মামলা রয়েছে। বিষয়টি আইনশৃংখ্য বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে রয়েছে।