কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচন, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন সাধারণ নির্বাচন ও ৯ টি পৌরসভারসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের মিলে ২৩৩ টি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, 'এই ২৩৩ টি নির্বাচনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি । রিটার্নিং অফিসে মনোনয়ন বাছাই হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। রিটার্নিং অফিস থেকে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা আপিল নিষ্পতি করা হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ করা ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ৯ মার্চ সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত।
ইসি সচিব জানান, এবারের স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মধ্যে, সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা ও জেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন এবং বিভিন্ন শূন্য পদের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদের শূন্য পদের উপনির্বাচনে ব্যালট পেপারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, 'ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী ৯ মার্চ সাধারণ ও উপ-নির্বাচন মিলিয়ে ২২৩ টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যার ভিতরে সিটি করপোরেশন ১ টি, সিটি করপোরেশন শূন্য পদে ৪ টি, পৌরসভার সাধারণ পদে তিনটি, পৌরসভার শূন্য পদে উপ নির্বাচন ১৫ টি, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ১৩ টি, শূন্য পদে উপ নির্বাচন বিভিন্ন পদে ১৯০ টি, জেলা পরিষদে শূন্য পদে নির্বাচন ৭ টি সব মিলিয়ে ২৩৩ টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে বলা হয় কুমিল্লা সিটির সীমানা নির্ধারণ চলমান আছে এই কার্যক্রম চূড়ান্ত হওয়ার পর মেয়রের শূন্য পদে উপ- নির্বাচনের আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপ নির্বাচন নিয়ে কোনো জটিলতা আছে কি না জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, 'কুমিল্লা নিয়ে জটিলতা আছে কি না সেটা আসলে আইন বলতে পারবে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে একটি পত্র পেয়েছি। কমিশনে সেটা উথাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে যদি কিছু হয় পরবর্তীতে জানানো হবে।'
প্রতীক ছাড়া উপজেলা ভোটের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইসি সচিব বলেন, 'এটা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের বিষয়। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে সবাই অংশগ্রহণ করে। প্রতীক না থাকলে আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।'