ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের তিনটি বুথে এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পড়েনি কোনও ভোট।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ৯টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রের ৪, ৫ ও ৬ নং পুরুষ বুথে কোন ভোট পড়েনি। পাশাপাশি এই বুথে কোন প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকেও দেখা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৯টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, এই ভোটকেন্দ্রের ৬টি বুথের অধিকাংশতেই নেই পোলিং এজেন্ট। এক ঘণ্টা সময় পেরিয়ে গেলেও ৪, ৫ ও ৬ নং বুথে কোন ভোট পড়েনি। এই ভোট কেন্দ্রের ৬টি বুথে মোট ভোটার ২১২৫। এর মধ্যে ১ নং বুথে ৪২৯, ২ নং বুথে ৪২৯, ৩ নং বুথে ৪৬৫, ৪ নং বুথে ৪৫৫, ৫ নং বুথে ২২৪ ও ৬ নং বুথে ২০৯ টি ভোট রয়েছে। কিন্তু ৪, ৫ ও ৬ নং বুথে কোন ভোট পড়েনি। এর মধ্যে ১ নং মহিলা বুথে ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত পড়েছে ১ ভোট। ২ ও ৩ নং বুথেও একটি করে ভোট পড়েছে।
এই কেন্দ্রের ৫ নং পুরুষ বুথের সহকারী প্রিজাইডিং শাহেনা বেগম বলেন, প্রায় ৯টা পর্যন্ত কোন ভোটার ভোট দিতে আসেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে। এই বুথে পোলিং এজেন্টও এখনো সবাই আসেনি। পোলিং এজেন্ট ও ভোটার না আসলে ভোট শুরু করা যাবে না।
এই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবু হানিফ মুন্সি বলেন, সকাল ৯টার মধ্যে অনেক পোলিং এজেন্ট আসেনি। শুধু আনারস প্রতীকের পোলিং এজেন্ট সাড়ে ৮টার পরে এসেছে। পোলিং এজেন্ট ও ভোটার না আসলে ভোট শুরু করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, শহরের ভোট কেন্দ্রগুলোর সকালের চিত্র এমনই হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৭৬৫ জন পুলিশ, ৫৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং তিনজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনটি উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন উপজেলায় মোট ভোটার ১০ লাখ ৬২ হাজর ৩৭২ জন।