রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিলের শেষ দিন বুধবার
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান রেখেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। সেই হিসাবে আগামীকাল বুধবার (৩১ জুলাই) বার্ষিক হিসাব জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ইসি সূত্রে জানা যায়, নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭টি দল তাদের বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি।
ইসিতে জমা দেওয়া আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আয় ও ব্যয় দু'টোই বেড়েছে। সেইসঙ্গে দলগুলোর ব্যয়ের চেয়েও আয় বেশি দেখা যায়। কিন্তু মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির আয় ও ব্যয়ে ধস নেমেছে। চলতি বছর আর্থিক প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে বিএনপি আয় দেখিয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ১৫১ টাকা। আর বছরজুড়ে ব্যয় করেছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ২৩ হাজার ৯৭০ টাকা টাকা। যা আগের জমা টাকা থেকে মেটানো হয়েছে। অর্থাৎ আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়েছে ২ কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮১৯ টাকা।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী পর পর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
এদিকে ৪৪ দলের মধ্যে মাত্র ১৭ দল হিসাব জমা দিলেও এখনও বাকি ২৩ দল। জমা দেওয়ার সময় আছে আর মাত্র একদিন।
এই বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইসির আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর বার্ষিক হিসাব জমা দিতে হয়। রীতি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত অনেকগুলো দল তাদের হিসাব জমা দিয়েছে। আগামীকাল যেহেতু জমা দেওয়ার শেষ দিন, বাকিদলগুলো কালকে দিয়ে দিবে আশা করা যায়।
সময় বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে ইসির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, সময় বাড়ানো নিয়ে আমাদের এখন পর্যন্ত কোনো ইচ্ছা নাই। তাছাড়া সময় বাড়ানো কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের কাছে আবেদন করেনি।
এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে ব্যয়ের হিসাবে জমা না দিলে কি ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে এই প্রশ্নে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী দলগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরপিও অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দল পরপর তিনবার আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে উক্ত দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল করার বিধান রয়েছে।