পঞ্চম উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচনের সময় মাঠে থাকবে দেড় লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। আর বিজিবি, র্যাব, কোষ্টগার্ড, আর্মড পুলিশকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৪ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সে হিসেবে ১০ হাজার ১৮ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন প্রায় দেড় লাখের বেশি। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দুই থেকে তিন প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
আগামী ২৪ মার্চ ১২৫ উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নরসিংদী জেলার সদর উপজেলা এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাচন চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ভোট হওয়ার কথা ছিল৷
ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘উপজেলার ভোটের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে। নির্বাচনের দিন, আগে ও পরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রের জন্য সশস্ত্র ও লাঠিধারীসহ ১৪ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের ক্ষেত্র ১৬ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া প্রতিটি এলাকায় দুই থেকে তিন প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোট গ্রহণের পূর্বে দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন এবং ভোট গ্রহণের পরের একদিন এবং যাতায়াত ও অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক একদিনসহ মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবে। তবে অঙ্গীভূত আনসাররা প্রশিক্ষণের জন্য একদিন বেশি নিয়োজিত থাকবে।
জানা গেছে, ভোট উপলক্ষে জেলা নির্বাচন অফিসার ২৫ জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ২৪ জন, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ৬৪জন (উপজেলা নির্বাহী অফিসার), সহকারী রিটার্নিং অফিসার ৮২ জন এই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট: ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে ১১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে থেকে পাঁচদিন দায়িত্ব পালন করবেন। সেইসাথে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের প্রতিটি টিমে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়াও ভোটে রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে তিন দিনের জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে মহাপরিচালক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এর নেতৃত্বে মনিটরিং সেল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে ১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ভোটার ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৮ জন। এছাড়াও ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের ও পঞ্চম ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।