দুই সিটিতে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন না করার নির্দেশ

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-22 15:10:00

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন ও প্রকল্পের অর্থ ছাড় না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য গত ২২ ডিসেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুসারে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ (পরিশিষ্ট-‘খ’) এর বিধি ৪ অনুযায়ী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে অর্থাৎ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার তারিখ হতে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান করতে বা অঙ্গীকার করতে পারবেন না। এ বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্টগণ উল্লেখিত আচরণ বিধিমালার বিধি ৩১ অনুযায়ী দণ্ডনীয় হবেন।

চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের কোনো সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এমনকি মাশুল প্রদান করেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না। সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া, কোনো প্রার্থী সিটি করপোরেশনের দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না।

সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২৫ অনুসারে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উম্মোচন করা যাবে না। কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল হতে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবে না। সিটি করপোরেশর মেয়র বা কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদাধিকারী সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান করতে পারবেন না। এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়) অনুদান, ডিজিডি, কাবিখা, ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বা উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান করা নিতান্ত আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার আলোকে একটি পরিপত্র জারি করার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দুই সিটির মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর