দীপ্ত টিভিতে শনি থেকে শুক্রবার প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় ও রাত ৯টায় প্রচারিত হচ্ছে তুর্কি ধারাবাহিক ‘বাহার'। ২৯ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিআরপি রিপোর্টে বাংলাদেশের টিভি সিরিয়ালে প্রথম স্থান অধিকার করেছে তুর্কি এই ধারাবাহিকটি।
একজন নারীর জীবন-সংগ্রামকে উপজীব্য করে, তুরস্কের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটকটি। 'দোরুক' আর 'নিসান' নামের ছোট্ট দুই সন্তানকে ঘিরেই মা 'বাহারের' জীবন। কয়েক বছর আগে এক দুর্ঘটনায় বাহার তার স্বামী 'সার্পকে' হারায় কিন্তু স্বামীর অনুপস্থিতি সে তার সন্তানদের বুঝতে দেয় না।
জীবিকার তাগিদে বাহার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে। সন্তানদের নিয়ে ছোট্ট একটা বাসায় তার টানাপোড়নের সংসার। প্রতিবেশী 'জেইদা' নামের এই স্বাধীনচেতা সংগীতশিল্পী যাকে উগ্রভাবে জীবন যাপন করতে দেখা যায়। এমন এক পরিবেশে সমাজের নেতিবাচক দিকগুলো থেকে গা বাঁচিয়ে সন্তানদের সুন্দরভাবে বড় করে তোলাই হয়ে দাঁড়ায় বাহারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ধীরে ধীরে সন্তানদের সখ্যতা তৈরি হয় বাড়িওয়ালার ছেলে আরিফের সাথে। ব্যর্থ প্রেমের বেদনায় কাতর এই যুবক একসময় বাহার ও তার সন্তানদের ভালো বন্ধু হয়ে ওঠে। শিক্ষিত, সুদর্শন, গম্ভীর আর দায়িত্ববান এই ছেলেটির মাঝে বাবাসুলভ ভালোবাসা খুঁজে পায় নিসান ও দোরুক। এদিকে কারখানার এক সহকর্মী 'ইয়েলিয'র সঙ্গেও বাহারের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বাহারের সুখে-দুঃখে আরিফ আর ইয়েলিযকে সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসাবে দেখা যায়।
এরই মাঝে হঠাৎ একদিন বাহার জানতে পারে সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। কিন্তু ঝামেলা শুরু হয় সন্তানের অধিকার নিয়ে বাহার তার মায়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করলে। সৎ বোন শিরিনের হিংসুটে আচরণ এবং মায়ের অবহেলায় সে চেষ্টা শেষপর্যন্ত বৃথা যায়। সন্তানদের নিয়ে আগের ঠিকানায় ফিরে যায় বাহার। কিন্তু এবার তার সঙ্গী হয় সৎ বাবা 'এনভার'। ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় যখন দেখা যায় সার্প বেঁচে আছে। 'আল্প' পরিচয়ে আবার ফিরে আসে দৃশ্যপটে। দোরুক আর নিসান কি কখনোই ফিরে পাবে না তাদের বাবাকে? সার্পের কাছে কি অজানাই থেকে যাবে তার স্ত্রী সন্তানদের বেঁচে থাকার কথা? দর্শকের মনে এমন
সব প্রশ্ন রেখেই শেষ হয় এই নাটকের কাহিনী।