ম্যানেজার কারিশমা প্রকাশের সঙ্গে ‘ড্রাগ চ্যাট’র কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) মুম্বাইয়ের ইভলিন গেস্ট হাউসে বসে বলিউডের এই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। যেখানে ছয় ঘণ্টা জেরা করা হয় ৩৪ বছর বয়সী এই তারকাকে।
দীপিকার পাশাপাশি আজ আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিনেত্রী সারা আলি খান ও শ্রদ্ধা কাপুরকে। এনসিবি’র বালার্ড ইস্ট অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের দু’জনকে।
জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সুশান্তের সঙ্গে পার্টি করার কথা স্বীকার করেছেন শ্রদ্ধা কাপুর। এমনকি প্রয়াত এই তারকাকে ভ্যানিটি ভ্যানে মাদক সেবন করতেও দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজে কোনদিন মাদক নেননি বা মাদক পাচারের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী।
সারা আলি খানও মাদক সেবন করেন না বা মাদক পাচারের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন।
ঘটনাটির শুরু রিয়া চক্রবর্তীকে দিয়ে। বলিউডের এই অভিনেত্রী তার প্রেমিক প্রয়াত বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতকে মাদক দিতেন বলে অভিযোগ উঠেছিলো। মাদক দেওয়া সংক্রান্ত কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও ফাঁস হয়েছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই বিষয়টির তদন্তে নামে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)।
সুশান্তের মৃত্যুতে ‘ড্রাগ অ্যাঙ্গেল’ খুঁজে পাওয়ায় রিয়া চক্রবর্তী, তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী ও সুশান্তের বাড়ির সাবেক ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এনসিবি।
তথ্য প্রমাণিত হলে গত ৪ সেপ্টেম্বর সৌভিক ও স্যামুয়েলকে এবং ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে রয়েছেন তিনি।
এনসিবি দফতরে জেরার মুখেই ভাই-বোন বলিউডের মোট ২৫ জনের নাম প্রকাশ্যে এনেছেন। যাদের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রির নামী-দামি বেশ কয়েকজন তারকারাও রয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই এগিয়ে যেতে থাকে এনসিবি।
এরমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তারকাদের মাদক বিষয়ক আলাপচারিতা ফাঁস হয়। এ নিয়ে এনসিবির তদন্তে দেখা গেছে- ‘এন’, ‘জে’, ‘এস’, ‘ডি’, ‘আর’, ‘কে’র মধ্যে মাদক পরিবহন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। ‘ডি’ অক্ষরটির মাধ্যমে দীপিকাকেই বোঝায় বলে দাবি করে ভারতীয় কিছু টিভি চ্যানেল। তারই ভিত্তিতে সমন জারি করা হয় দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর ও রাকুল প্রীত সিংয়ের বিরুদ্ধে।
বলিউডের এই তিন সুন্দরীর আগে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনসিবি দফতরে ডাকা হয়েছিলো রাকুল প্রীত সিংকে। এদিন প্রায় চার ঘণ্টা রকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনসিবি।
জিজ্ঞাসাবাদে রিয়ার সঙ্গে রাকুলের নিয়মিত মাদক সংক্রান্ত কথা হতো বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানান, রিয়া মাদক কিনে রকুলের বাড়িতে রাখতেন। তবে রকুল নিজে কখনও মাদকসেবন করেননি। এনমকি বছর খানেক আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।