বহুল প্রশংসিত নাটক ‘লালজমিন’ এখন ২৫০তম মঞ্চায়নের অপেক্ষায়।
আগামী ১১ নভেম্বর গাইবান্ধায় পুলিশ লাইনে ‘লালজমিন’র ২৫০তম মঞ্চায়ন হবে। ১২ নভেম্বর একই জেলায় নাটকটির ২৫১তম প্রদর্শনী হবে গাইবান্ধা থিয়েটারের আয়োজনে।
মান্না হীরা রচিত এবং সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশিত ‘লালজমিন’ নাটকটিতে একক অভিনয় করেন মোমেনা চৌধুরী। ২০১১ সালের ১৯ মে নাটমন্ডলে ‘লালজমিন’ নাটকটি প্রথম মঞ্চায়ন হয়। সেই থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও বিদেশের মাটিতে একের পর এক নাটকটির মঞ্চায়ন হয়ে আসছে।
‘লালজমিন’ নাটকের গল্প মুক্তিযুদ্ধের একটি খণ্ড-চিত্রের বয়ান। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন কিশোরীর অংশগ্রহণ, গল্পের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের ভয়াবহতা, মেয়েটির ত্যাগ- সবশেষে স্বাধীনতা অর্জন; দর্শকদের এক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় ‘লালজমিন’।
নাটকটির ২৫০তম মঞ্চায়ন নিয়ে মোমেনা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার অভিনীত নাটক ‘লালজমিন’ ২৫০তম প্রদর্শনী আমার অভিনয় জীবনে অনেক বড় আনন্দের প্রাপ্তি। তবে এই আনন্দের সঙ্গে মন খারাপের বিষয় হল কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে ২৫০তম প্রদর্শনীর আনন্দঘন মুহূর্তে দলের সব সদস্যদের পাচ্ছি না। মাত্র পাঁচজন সদস্য আজ আমরা ২৫০তম মঞ্চায়নের লক্ষ্যে গাইবান্ধা যাচ্ছি। আমার খুব ইচ্ছে ছিল দলের সব সদস্যদের নিয়ে আমার নিজের জেলা বগুড়াতে ২৫০তম প্রদর্শনীটি করব। এমনই প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু তার আগেই হঠাৎ এই দুটি প্রদর্শনীর আমন্ত্রণ চলে আসে। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই নাট্যকার মান্নান হীরা, নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী, মঞ্চায়ন সহযোগিতার জন্য জুলফিকার চঞ্চল, রাজু, নভেরা, নীলা, আতিক, জয়, সাকিব, জুয়েল, সানি, মেহেদী, নিথর মাহবুব, মামুন, জিহাদ, সাজিদ, বাসার, মাহবুবসহ নাটকটির সঙ্গে এযাবৎ সম্পৃক্ত থাকা সবাইকে। তারা সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন ‘লালজমিন’ নিয়ে এতোটা পথ আসতে।