বাংলাদেশে দলীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথের নাটকের নিয়মিত চর্চার প্রথম প্রয়াস ‘প্রাঙ্গণেমোর’। এ কথা আজ বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গণে স্বীকৃত সত্য যে, এই নাট্যদলের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিয়মিত ভাবে রবীন্দ্র নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে।
রবীন্দ্র নাট্যচর্চার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদল মঞ্চে নিয়ে এসেছে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নাটক ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটি মঞ্চায়িত হবে।
‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, আউয়াল রেজা, রামিজ রাজু, তৌহিদ বিপ্লব ও সরোয়ার সৈকত। নূনা আফরোজ নাটকটি নির্দেশনার পাশাপাশি এর পোশাক ও মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন। সঙ্গীত পরিকল্পনায় রামিজ রাজু ও আলোক পরিকল্পনায় তৌফিক রবিন।
‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ নাটকে- অথৈ একদিন তার বন্ধুর সাথে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে বেড়াতে যায়। কুঠিবাড়ি দেখতে দেখতে এক সময় অথৈ একাই দোতলার সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যায়। হঠাৎ অথৈয়ের সামনে এসে হাজির হন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। তিনি অথৈকে কুঠিবাড়ি ঘুরিয়ে দেখার আহ্বান জানান।
অথৈ ভুলে যায় তার বন্ধুসহ পৃথিবীর সবকিছু। সে রবীন্দ্রনাথের সাথে কথা বলতে থাকে। অথৈয়ের সামনে পর পর হাজির হয় ২৯ বছর, ৬৯ বছর, ২১ বছর ও ৮০ বছরের ভিন্ন ভিন্ন রবীন্দ্রনাথ। এই চার বছরের রবীন্দ্রনাথের সাথে অথৈয়ের কথা হয় সেই সময়ের রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিজীবন ও তাঁর সৃজনশীলতা নিয়ে। আর রবীন্দ্রনাথের প্রতিটি বয়সের সাথে অথৈও বদলে যেতে থাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র ও বয়সে। বিভিন্ন বয়সী রবীন্দ্রনাথের সাথে অথৈয়ের কথপোকথনের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম ও তাঁর ব্যক্তিজীবনের নানা দিক।