‘চিরসবুজ জাফর ইকবাল’

সিনেমা, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক | 2023-08-26 16:33:57

জাফর ইকবাল।

দেশীয় চলচ্চিত্রে উজ্জ্বল এক নাম।

আশির দশকে স্টাইলিশ নায়কদের অন্যতম ছিলেন জাফর ইকবাল।

‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’সহ ‘নয়নের আলো’ ছবির কালজয়ী গানগুলোতে ঠোঁট মিলিয়েছেন যিনি।

অভিনয়ের পাশাপাশি চমৎকার গাইতে পারতেন এই তারকা।

নায়করাজ রাজ্জাক অভিনীত ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’ গানটি জাফর ইকবালের গাওয়া।

জাফর ইকবালের গাওয়া ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী’ গানটি আজও শ্রোতার মুখে মুখে ফেরে।

অকাল প্রয়াত এই চিত্রনায়ককে নিয়ে নির্মিত হলো বিটিভির ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ‘ছায়াছন্দ’র বিশেষ একটি পর্ব।

এই পর্বের নাম দেওয়া হয়েছে ‘চিরসবুজ জাফর ইকবাল’।

লুৎফর রহমান রবিনের প্রযোজনায় নির্মিত এই পর্বে তুলে ধরা হয়েছে জাফর ইকবাল সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।

রয়েছে জাফর ইকবাল অভিনীত চলচ্চিত্রের দুর্লভ কিছু ফুটেজ ও গান।

অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করেছেন ইকবাল খন্দকার।

তিনি বলেন-

‘জাফর ইকবাল চিরবিদায় নিয়েছেন দুই যুগেরও বেশি সময় আগে। এখনও তার সম্পর্কে ব্যাপক আগ্রহ মানুষের। এই অনুষ্ঠানে আমরা এমন তথ্য সংযোজনের চেষ্টা করেছি, যেগুলো বর্তমান প্রজন্মের তো বটেই, পূরণ করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দর্শকদের আগ্রহও।’

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর জাফর ইকবালের জন্মদিনে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে বিটিভিতে প্রচার হবে ‘ছায়াছন্দ’র বিশেষ এই পর্ব।

১৯৫০ সালে সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন জাফর ইকবাল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন তিনি।

তার প্রথম ছবি বশীর হোসেন পরিচালিত ‘আপন পর’ মুক্তি পায় ১৯৭০ সালে।

এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কবরী।

১৯৭৫ সালে ‘মাস্তান’ ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় তাকে সেই প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা এনে দেয়। রাগী, রোমান্টিক, জীবন-যন্ত্রণায় পীড়িত কিংবা হতাশা থেকে বিপথগামী তরুণের চরিত্রে তিনি ছিলেন পরিচালকদের অন্যতম পছন্দ।

১৯৮৯ সালে জাফর ইকবাল অভিনীত ত্রিভূজ প্রেমের ছবি ‘অবুঝ হৃদয়’ দারুণ ব্যবসাসফল হয়। এ ছবিতে চম্পা ও ববিতার বিপরীতে তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।

ববিতার সঙ্গে তার জুটি ছিল দর্শকনন্দিত। তারা জুটি হয়ে প্রায় ৩০টি ছবিতে কাজ করেছেন।

সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০টি ছবিতে অভিনয় করেন জাফর ইকবাল। এগুলোর বেশিরভাগই ছিল সুপারহিট।

এ তালিকায় আরও আছে ‘ভাই বন্ধু’, ‘চোরের বউ’, ‘অবদান’, ‘সাধারণ মেয়ে’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’, ‘ফকির মজনুশাহ’, ‘দিনের পর দিন’, ‘বেদ্বীন’, ‘অংশীদার’, ‘মেঘবিজলী বাদল’, ‘সাত রাজার ধন’, ‘আশীর্বাদ’, ‘অপমান’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘গৃহলক্ষ্মী’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘প্রেমিক’, ‘নবাব’, ‘প্রতিরোধ’, ‘ফুলের মালা’, ‘সিআইডি’, ‘মর্যাদা’, ‘সন্ধি’ ইত্যাদি।

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯২ সালের ২৭ এপ্রিল মাত্র ৪১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন জাফর ইকবাল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর