২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এটি বড়পর্দায় মুক্তি পায়।
এর কারণ অবশ্য জয়ার কথা থেকেই বুঝে নেয়া যায়।
জয়া বলেছেন-
খাঁচা হয়তো সব দর্শকের জন্য না, এটা একটু সংবেদনশীল দর্শকের জন্য। সেইসব দর্শকের জন্য যারা দিনের শেষে কিছু নিয়ে বাড়ি ফিরতে চায়। আমি ব্যাসিকেলি এনজয় করেছি এমন একটা ছবিতে সম্পৃক্ত হতে পেরে। দেশভাগ নিয়ে খুব বেশি ছবিতো তৈরি হয়নি, এ ছবিটার একটা আর্কাইভাল ভ্যালু আছে। শুধু বিনোদিত হওয়ার জন্য কিন্তু এ ছবিটি নয়। আজীবন এর একটা মূল্য আছে।
‘খাঁচা’ মুক্তির আজ এক বছর হলো।
এই উপলক্ষে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন চলচ্চিত্রটি নিয়ে।
জয়া লিখেছেন-
নির্মাতা আকরাম খান লিখেছেন-
খাঁচার গল্পটা আসলে কী?
আল মাহফুজ লিখেছেন-
‘খাঁচা’ ধুলো পড়া সেতারের গল্প। গভীর রাতে অশ্বত্থ গাছ থেকে তক্ষকের বুক কাঁপানো ভয়ার্ত ডাকের গল্প। যে ডাক শুনলে শুধু হোমিওপ্যাথির নিরুপায় ডাক্তার অম্বুজাক্ষই কেঁপে ওঠে না, আমরাও কেঁপে উঠি দ্বিধায়! ‘খাঁচা’ নতুন জীবনের সন্ধানে নবদ্বীপে যেতে সদা উদগ্রীব সরোজিনীর আটপৌরে খেটে খাওয়া শাড়ির গল্প। যে দ্বীপে হাজার বছর ধরে চলা মানব সৃষ্ট সাক্ষাত সংকট অথবা কুৎসিত কাণ্ড দেখতে হবে না। যে দেশে সে দুপুর বেলায় ঘরের দাওয়ায় একতাল জিরিয়ে নিতে পারবে বাড়ির অঙ্গনে রঙ্গন ফুলের অপরূপ মঞ্জুরি দেখে।
৪৭-এর দেশভাগের পর সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ভাগ্য ফেরাতে একটি ব্রাহ্মণ পরিবার দেশান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ঘটনার একপর্যায়ে ভাগ্যের ফেরে আটকে যায় তারা। মূলত দেশভাগ হওয়ার পর যারা আটকে পড়ে, তাদেরই গল্প বলার চেষ্টা করা হয়েছে এ পরিবারটির উপস্থাপনের মাধ্যমে।