তীব্র শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের কারণে ২৭ জুন রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কবীর সুমনকে।
এরপর বর্ষীয়ান এই শিল্পী করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানতে আরটিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে সেই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে ভর্তির সময় বর্ষীয়ান এই সংগীতশিল্পীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ থাকায় সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন সাপোর্টে দেওয়া হয় তাকে। এখনও অক্সিজেন সাপোর্টেই রয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কবীর সুমনের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ বলেন, বিভিন্ন টেস্ট করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি তার কোভিড হয়নি। এইচআরসিটি’র (হাই রেজুলেশন কম্পিউটেড টমোগ্রাফি) রিপোর্টেও দেখা গিয়েছে বেশি মাত্রায় সংক্রমণ হয়নি। তার গলায় একটা ইনফেকশন রয়েছে, সঙ্গে আরও কিছু সমস্যাও আছে। আপাতত ফেস মাস্ক দিয়ে ৬ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাত থেকে তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো, আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।
এদিকে, কবীর সুমনের অসুস্থতার খবর পাওয়ার পর তার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বর্ষীয়ান এই সংগীতশিল্পীর সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ নামের একটি গানের অ্যালবাম করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবীর সুমন। জীবনমুখী বাংলা গানের প্রবর্তক হিসেবে তাকেই গ্রহণ করে বাঙালি। গ্রহণ করেছে দুই বাংলার শ্রোতারা। সেই থেকে অব্যাহত তার সংগীতের চলার পথ। একসময় স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন নিজের মতো করে। নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুর আন্দোলনে দাঁড়িয়েছিলেন মমতার পাশে।
তারপর যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পরে তৃণমূল ছাড়েন।
কবীর সুমনের পূর্বনাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন।
জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ। এখন তার বয়স ৭১ বছর।