বিতর্কিত সব কর্মকাণ্ডের কারণে প্রায় সময়ই খবরের শিরোনামে আসে মাইনুল আহসান নোবেলের নামটি। গত ২৮ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি হয়তো বাবা হতে যাচ্ছেন। আর নিজের স্ট্যাটাসে এই ‘হয়তো’ শব্দটি ব্যবহারের কারণে বেশ সমালোচিত হতে হয়েছে তাকে।
এদিকে, নোবেলের এমন স্ট্যাটাস দেখার পর ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন তার স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। যেখানে তিনি জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন। এমনকি মাতৃত্বের মতো এমন একটি বিষয় নিয়ে মজা করার কারণে সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন মেহরুবা।
স্ত্রীর ফেসবুক লাইভের পর এবার আরও একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করলেন নোবেল। সেই সঙ্গে জানালেন তার স্ত্রী তাকে অ্যাবরশন করার হুমকি দিয়েছেন।
নোবেলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
“মাতৃত্ব কেবল মাত্র একজন নারীর জন্যই পবিত্র কিংবা সম্মানের বিষয় নয়। একজন পুরুষের জন্যেও অত্যন্ত আনন্দের এবং খুব গর্বের একটি বিষয়। এগুলো নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করে না। একটি শিশুকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন মা। কিন্তু শিশুর পিতা কিন্তু সেই মাকে ১০ মাস বুকে আগলে রাখে।
আমার স্ত্রী, সালসাবিল তার অন্তসত্যা হবার লক্ষণগুলো আমার সাথে শেয়ার করেন এবং তার ফলশ্রুতিতে আমি এক্সাইটেড হয়ে স্ট্যাটাসটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। সম্ভব্য পিতা হিসেবে বিষয়টা কি স্বাভাবিক নয়? আপনি বাবা হবার ইঙ্গিত পেলে নিজে কি করতেন বলুন? আমি মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হবার খুশি ধরে রাখতে পারিনি। তবে স্ট্যাটাসটি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী, সালসাবিল আমাকে ফোন করে বাচ্চা ‘অ্যাবরশন’ করে ফেলবে, এই হুমকি দেয়। কারণ আমি নাকি তার বাচ্চার বাবা হবার যোগ্য না। আমার অনেক হেটার্স! অনেক কন্ট্রোভার্সি। ব্যাংক ব্যালেন্স এই মুহূর্তে একটু কম। যেহেতু আমাদের শিল্পীদের গত বছর মার্চ থেকে “লাইভ কনসার্ট” বন্ধ। তাছাড়া দুজন প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে-মেয়ে স্বসম্মতিতে বিয়ে করেছি, তাই আমার স্ত্রীর পিতৃপক্ষ কোনভাবেই আমাদের বিয়ে টিকতে দেবে না। এমনকি আমার ঘরের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
যদিও আমি আমার স্ত্রীকে মেডিকেল টেস্ট করবার আগেই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে স্ট্যাটাসটি দেই। মেডিকেল করলে হয়তো পজিটিভই আসতো। তবে যানি না এতক্ষণে আমার সম্ভব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি “পিলস” খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেস্তাটি পৃথিবীর আলো দেখতো, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।
কিন্তু আমি তো আমার স্ত্রীর কোনো সন্ধানই জানি না। কোথায় থাকে, কার সাথে থাকে, কি করে, কি পরে, কি খায়? কিছুই যানি না। এই ১.৫ বছরের বৈবাহিক জীবনে আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী খুব অল্প সময়ই ছিলো। কারণ সে তার পড়ালেখা এবং তার বাবা-নানু-খালা-বোনদের নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। সংসারটা এখনও আমার করা হয়নি। হয়তো হবে একদিন।
আমাদের সম্প্রতি পাবনা ট্যুরে আমার স্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক। তবে কেনো আজ এই কাদা ছোড়াছুড়ি। সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করার জন্য। ধন্যবাদ।”