সম্প্রতি ১৫ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন আমির খান ও কিরণ রাও। এরপর থেকে এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন, হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনাও।
এবার সেই স্রোতে গা ভাসালেন কঙ্গনা রনৌত। আমির ও কিরণের ডিভোর্স ঘোষণার পরই ভিন ধর্মের বিয়ে নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে কঙ্গনা রনৌত লিখেছেন, “পাঞ্জাবের বহু পরিবার এক সন্তানকে হিন্দু হিসেবে, আরেক সন্তানকে শিখ হিসেবে বড় করে তোলে। এই বিষয়টা হিন্দু-মুসলিম বা শিখ-মুসলিম কিংবা অন্য কোনও ভিন্ন ধর্মের মানুষদের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বিয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। আমির খান স্যারের দ্বিতীয় ডিভোর্সের পর আমার মনে প্রশ্ন জাগলো, ভিনধর্মের বিয়ের ক্ষেত্রে কেনো সন্তানদের মুসলিম হতেই হয়, আর কেনই বা নারীরা হিন্দু থাকতে পারেন না? পরিবর্তিত সময়ের দাবি মেনে আমাদের এই প্রথাও পাল্টানো উচিত। এক পরিবারে যদি হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, রাধাস্বামী এবং নাস্তিকরা মিলেমিশে থাকতে পারেন তাহলে মুসলমিরা কেনো থাকতে পারবেন না? কেনো মুসলিম সম্প্রদায়ের কাউকে বিয়ে করতে গেলে ধর্ম পরিবর্তন করতে হয়?”
আমির খান অভিনীত ‘লাগান’ ছবিতে অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর ছিলেন কিরণ রাও। সেখানেই প্রথম পরিচয় হয় তাদের। এরপর কিছু সময় একসঙ্গে কাটানোর পর ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এরপর ২০১১ সালে সারোগেসি (গর্ভভাড়া) পদ্ধতির মাধ্যমে আজাদ রাওয়ের বাবা-মা হন তারা।
কিরণ রাওয়ের আগে ১৯৮৬ সালে রীনা দত্তের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন আমির খান। কিন্তু ২০০২ সালে ১৬ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানেন তারা। ইরা খান ও জুনায়েদ খান নামে সাবেক এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
কাজের দিক থেকে এই মুহূর্তে আমির খান ব্যস্ত রয়েছেন ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবির শুটিং নিয়ে। হলিউড ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’র হিন্দি সংস্করণ এটি। এতে বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্টের বিপরীতে দেখা যাবে কারিনা কাপুর খানকে।