ওটিটি নয়, আগামী ৬ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সঞ্জয়লীলা বানসালি পরিচালিত ও আলিয়া ভাট অভিনীত ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’।
বৃহস্পিতবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’ পোস্টার শেয়ার করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অজয় দেবগণ।
বলিউডের এই অভিনেতা লিখেছেন, তিনি (গাঙ্গুবাঈ) কষ্টের শিখার মধ্যে ক্ষমতায় উঠেছিলেন। অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। ৬ জানুয়ারি আপনাদের নিকটস্থ প্রেক্ষাগৃহে আসতে যাচ্ছে
এস হুসেন জাইদির লেখা বই ‘মাফিয়া কুইনস অব মুম্বাই’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’র চিত্রনাট্য। এই ছবিটির মধ্য দিয়ে প্রথমবার সঞ্জয়লীলা বানসালির সঙ্গে কাজ করলেন আলিয়া ভাট।
২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো ছবিটির। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আটকে যায় সেটি। এরপর এ বছরের ৩০ জুলাই ছবিটির মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করলে সেটিও পিছিয়ে যায়।
কে ছিলেন এই গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি?
এস হুসেন জাইদির লেখা বই ‘মাফিয়া কুইনস অব মুম্বাই’ থেকে জানা যায়, মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাবার হিসাবরক্ষকের সঙ্গে গঙ্গা হরজীবনদাস কাথিওয়াড়িয়া (গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি) গুজরাত থেকে মুম্বাইয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু প্রেমে ধোঁকা খেতে হয়েছিল এই কিশোরীকে। বিয়ে করেও স্বামী তাকে বিক্রি করে দেয়। ডন করিম লালার একাধিক গ্যাং মেম্বার তাকে বারবার ধর্ষণ করে। তবুও হাল ছাড়েন না গাঙ্গুবাঈ। শেষমেষ করিম লালার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন গাঙ্গুবাঈ। তাকে নিজের বোনের সম্মান দেয় করিম লালা। এরপরই কামাতিপুরায় একটি গণিকালয় শুরু করেন গঙ্গুবাই।
এরপর সেই গাঙ্গুবাঈ হয়ে উঠেছিলেন সম্পূর্ণ কামাতিপুরার হর্তাকর্তা বিধাতা। কিন্তু জোড় করে যে সব মেয়েদের এই পেশায় ঠেলে দেওয়া হতো তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন তিনি।