জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের আয়োজনে আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে ১১ দিনের বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নাট্যোৎসব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন ও পরীক্ষণ থিয়েটার হলে এ উৎসবের নাটকগুলো মঞ্চায়ন হবে। আজ বিকেলে হবে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে উৎসব উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীন বাংলাদেশের সংস্কৃতির অগ্রযাত্রায় অসামান্য ভূমিকা রাখা ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতিজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্বাগত বক্তব্য দেবেন উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব মো. শাহনেওয়াজ। সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবে ‘স্মরণে ৭১’ শীর্ষক কোরিওগ্রাফির মঞ্চায়ন।
এ ছাড়া উৎসবজুড়ে থাকবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ১৪টি নাট্যদলের নাটক মঞ্চায়ন। আজ শুক্রবার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের নাটক ‘ঘুম নেই’, ৪ ডিসেম্বর পরীক্ষণ থিয়েটার হলে চট্টগ্রামের উত্তরাধিকারের ‘মৃত্যু পাখি’, ৫ ডিসেম্বর পরীক্ষণ থিয়েটার হলে দৃশ্যকাব্যের নাটক ‘বাঘ’, ৬ ডিসেম্বর মূল হলে শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের নাটক ‘রাইফেল’, ৭ ডিসেম্বর মূল হলে বুনন থিয়েটারের নাটক ‘সিক্রেট অব হিস্ট্রি’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ঢাকা পদাতিকের ‘কথা ৭১’, ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষণ থিয়েটার হলে বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটারের নাটক ‘অভিশপ্ত আগস্ট’, ৯ ডিসেম্বর মূল হলে প্রাঙ্গণে মোর প্রদর্শন করবে ‘কনডেমড সেল’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘মানব সুরৎ’।
১০ ডিসেম্বর মূল হলে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় মঞ্চায়ন করবে ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে থিয়েটার আর্ট ইউনিট মঞ্চায়ন করবে ‘কোর্ট মার্শাল’, ১১ ডিসেম্বর মূল হলে বরিশালের নাট্যম মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘তীলক’, ১২ ডিসেম্বর মূল হলে পদাতিক নাট্য সংসদ (টিএসসি) মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘কালরাত্রি’, ১৩ ডিসেম্বর থিয়েটার মঞ্চায়ন করবে ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’।