ভারত থেকে শেষবার ‘মিস ইউনিভার্স’-এর মঞ্চে মুকুট জয় করেছিলেন লারা দত্ত (২০০০)। এরপর লাগাতার ভারতীয় সুন্দরীদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। কিন্তু এবার ২১ বছর পর আবারও ‘মিস ইউনিভার্স’র মুকুট এসেছে ভারতের ঝুলিতে। নতুন বিশ্বসুন্দীর হয়েছেন পাঞ্জাবের হারনাজ কৌর সান্ধু।
পড়াশোনার পাশাপাশি মাত্র ১৭ বছর বয়স থেকে মডেলিং শুরু করেন চণ্ডিগড়ের কন্যা হারনাজ। ২০১৭ সালে ‘টাইম’স ফ্রেশ ফেস’-এর খেতাব জেতেন তিনি। ২০১৮ সালে মিস ম্যাক্স ইমার্জিং স্টার ইন্ডিয়া জেতেন। এরপর ২০১৯ সালে হারনাজ ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া পঞ্জাব হন। একই সালেই মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় সমগ্র দেশে দ্বাদশ স্থান দখল করেন হারনাজ। এরপর এ বছর ইজরায়েলে ৭৯টি দেশের প্রতিযোগীদের পরাজিত করে ‘মিস ইউনিভার্স’র মুকুট মাথায় তোলেন এই সুন্দরী।
কিন্তু জানেন কী ‘মিস ইউনিভার্স’র খেতাব জয়ের পর হারনাজ তার মাথায় যে মুকুটটি পরেছেন সেটি তৈরি হয়েছে ১৭২৫টি হীরা দিয়ে। মৌওয়াদের ডিজাইনাররা মৌওয়াদ পাওয়ার অব ইউনিটি ক্রাউনটি তৈরি করেন। এই বছর মুকুটের দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৩৭ কোটি রুপি। এর ওজন ১ কেজি।
চমকপ্রদ তথ্য হলো- এর আগে কোনও প্রতিযোগীর জন্য এত দামি মুকুট তৈরি হয়নি।
‘মিস ইউনিভার্স’ হওয়ার পর ইতিমধ্যে বেশ পরিবর্তন এসেছে হারনাজের জীবনে। তবে বিশ্ব সুন্দরীররখেতাব জয়ের পর কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয় বিজয়ীকে। যার বিনিময়ে পাওয়া যায় বেতনও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আগামী এক বছরের জন্য নিউইয়র্কের একটি বিলাসবহুল পেন্টহাউসে থাকার সুযোগ পাবেন হারনাজ, যা বিলাসবহুল সামগ্রীতে সাজানো। ‘মিস ইউনিভার্স’ বিজয়ী হওয়ার পরে হারনাজ সান্ধু এখন মিস ইউনিভার্স সংস্থার প্রধান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। এই পদের ফলে তিনি পুরো বিশ্ব ভ্রমণ করতে পারেন। তাকে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সব কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে। এই সময়, তার পোশাক থেকে ত্বক, ডায়েট সবকিছুর খেয়াল রাখার জন্য থাকবেন বিশেষজ্ঞরা। হারনাজ পাবেন নিজস্ব মেকআপ আর্টিস্ট এক বছরের জন্য। তিনি কী খাবেন, কীভাবে নিজের ত্বকের খেয়াল রাখবেন সবকিছুই খুঁটিয়ে নজর রাখার জন্য থাকবে আলাদা আলাদা লোক। সঙ্গে সিনেমা, বিজ্ঞাপনের শুট করে আয় তো হবেই!