প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে মানসিক যন্ত্রণায় ছিলেন কোয়েনা

সিনেমা, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-12-26 19:06:45

তারকাদের জন্য প্লাস্টিক সার্জারি নতুন কোন বিষয় নয়। বিশেষ করে অভিনেত্রীরা নিজেদের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য শরীরের নানা অংশে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে থাকেন। যদিও বা কখনও কখনও এর কারণে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পরিবর্তে ভয়ানক সব অভিজ্ঞতারও শিকার হতে হয় তাদের।

এদিকে, তারকারা সাধারণত প্লাস্টিক সার্জারি করালে সেটি যতোটা সম্ভব লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত পথে হেঁটেছিলেন অভিনেত্রী কোয়েনা মিত্র।


নিজের মুখের প্লাস্টিক সার্জারি করার পর অন্যান্যদের মতো সেটি লুকিয়ে না রেখে বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছিলেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। আর এ কারণে নাকি তাকি মানসিক যন্ত্রণার শিকারও হতে হয়েছিলো। প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সুবাদে তাকে রীতিমতো একঘরে করে দিয়েছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।

কোয়েনার কথায়, “সেটি সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্ত ছিল। দিনের শেষে এটা তো আমার মুখ, আমার জীবন। লোকের এত সমস্যা কেন?”


যোগ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি জানতাম না বলিপাড়ায় সার্জারি করিয়ে সে ব্যাপারে মুখ খোলা নিষেধ। প্লাস্টিক সার্জারি নতুন কিছু নয়। তবে তা করে যে খোলাখুলি কথা বলা যায় না সেসব ব্যাপার একেবারেই মালুম ছিল না। তাই তো একজন জিজ্ঞেস করা মাত্রই স্বীকার করে নিয়েছিলাম প্লাস্টিক সার্জারি করানোর কথা। ব্যাস! মনে হলো পুরো পৃথিবী আমার পিছনে পড়ে গেছে। সার্জারি করার পর তিন বছর ধরে ক্রমাগত মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল আমাকে। দেখলাম বলিপাড়ার অনেকেই আমার থেকে দূরত্ব রাখা শুরু করে দিলেন। আমাকে ঘিরে রাজ্যের নেতিবাচক খবর চলতে লাগল।”


শুধু প্লাস্টিক সার্জারির কারণে মানসিক যন্ত্রণা নয়, স্বজনপ্রীতির শিকারও হয়েছেন এই অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, “বলিউডে স্বজনপোষণ আছে ভীষণভাবে। রয়েছে দলবাজি। সেসবের শিকারও হয়েছি। সবরকমের আচরণ পেয়েছি। এক সময় সম্পূর্ণ বহিরাগত হয়েও বি-টাউনে দারুণ সব ছবির প্রস্তাব পেয়েছি, কাজ করেছি আবার যখন সবথেকে বেশি কাজের দরকার ছিল আমার তখন পাইনি। কোনও সহকর্মী সমর্থন করেননি আমাকে। সোচ্চারে আমার হয়েও গলা ফাটায়নি। এই অভিযোগ আমার আজও রয়েছে। থেকে যাবেও।”

২০০৪ সালে রাম গোপাল ভার্মা পরিচালিত ‘রোড’ ছবির মধ্য দিয়ে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন কোয়েনা মিত্র। এরপর সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ‘মুসাফির’-এর আইটেম গান ‘সাকি সাকি’তে কোমর দুলিয়ে সফলতা পান কোয়েনা। এরপর ‘এক খিলাড়ি এক হাসিনা’, ‘ইনসান’, ‘আপনা স্বাপনা মানি মানি’, ‘ওম শান্তি ওম’ এবং হেভি বেবি’ ছবিতে দেখা গেছে তাকে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর