আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মৃত্যুবার্ষিকীতে মঞ্চে ‘খোয়াবনামা’
কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মৃত্যুবার্ষিকীতে মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে প্রাচ্যনাটের প্রযোজনা-খোয়াবনামা।
এ কথাসাহিত্যিকের বিখ্যাত বিখ্যাত একটি উপন্যাস এই খোয়াবনামা। ১৯৯৬ সালে এটি প্রকাশিত হয়। সাতচল্লিশের দেশভাগের পটভূমিতে তৎকালীন জনমানুষের বিস্তৃত জীবন আখ্যান 'খোয়াবনামা'। এই গল্পের মধ্য দিয়ে সময়ের জীবন ও বাস্তবতাকে ঔপন্যাসিক তুলে ধরেছেন নিপুণ হাতে।
কাৎলাহার বিলের ধারে ঘন জঙ্গল সাফ করে বাঘের ঘাড়ে জোয়াল চাপিয়ে আবাদ শুরু করার দিনের এক বিকেলবেলায় মজনু শাহর অগুনতি ফকিরের সঙ্গে মহাস্থানগড়ের দিকে যাওয়ার সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেপাই সর্দার টেলারের গুলিতে মারা পড়ে মুনসি বয়তুল্লাহ শাহ। কাৎলাহার বিলের দুই ধারের গিড়িডাঙা ও নিজগিড়িডাঙার মানুষ সবাই জানে, বিলের উত্তরে পাকুড়গাছে আসন নিয়ে রাতভর বিল শাসন করে মুনশি। দূরে কোথাও ভূমিকম্প হলে যমুনা বদলে যায়। বন্যায় ভেঙে পড়ে কাৎলাহারের তীর। মুনশির নিস্কণ্টক অসিয়তে চাষিরা হয় কাৎলাহার বিলের মাঝি।
সময়ের আবর্তনে বিলের মালিকানা চলে যায় জমিদারের হাতে। মুনশির শ্নোকে শ্নোকে মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বেড়ায় চেরাগ আলি ফকির। তমিজের বাপ শ্নোক শুনে আর ঘুমের মধ্যে বিলে গিয়ে কাদায় পা ডুবিয়ে দেখতে চায় পাকুড়গাছের মুনশিকে। ভবানী পাঠকের সঙ্গে পূর্বপুরুষের জের টেনে বৈকুণ্ঠনাথ গিরি প্রতীক্ষা করে ভবানীর শুভ আবির্ভাবের। তমিজ দেখে জমির স্বপ্ন। আর চেরাগ আলির নাতনি কুলসুম খোয়াবে কার কায়া যে দেখতে চায়, তার দিশা পায় না। তেভাগার কবি কেরামত শেষ পর্যন্ত আটকে পড়ে শুধুই নিজের কোটরে। সে নাম চায়, বউ চায়, ঘর চায়।
কোম্পানির ওয়ারিশ ব্রিটিশের ডাণ্ডা উঠে আসে দেশি সাহেবদের হাতে। এভাবে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
আগামী ৯ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদশে শিল্পকলা একাডমেীর জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হবে নাটকটি। এটি জনপ্রিয় এ নাট্যদলটির ৩৭ তম প্রযোজনা। এর নাট্যরূপ দিয়েছেন মো. শওকত হোসেন সজীব। নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানজিদা প্রীতি, সাখাওয়াত হোসেন রিজভী, মনিরুল ইসলাম রুবেল, চেতনা রহমান ভাষা, শশাংক সাহা, মো. সোহেল রানা, মিতুল রহমান, মো. সোহেল রানা, তানজি কুন, সাইদুর রহমান শাহীন, শ্রাবণ শামীম প্রমুখ। গানের সুর করেছেন রাহুল আনন্দ, সঙ্গীতায়োজন করেছেন নীল কামরুল, কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন স্নাতা শাহরিন, মঞ্চসজ্জায়- এবি এস জেম ও আলোক ভাবনায় ঠান্ডু রায়হান।