করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে রক্ষা লতা মঙ্গেশকর। করোনাভাইরাস ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিন ধরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী।
সুরসম্রাজ্ঞী দ্রুত সেরে উঠুন এখন এমনটাই প্রার্থনা তার কোটি কোটি ভক্তের। এমনকি তার চিকিৎসার দায়িত্বের থাকা চিকিৎসকরাও ৯২ বছর বয়সী এই তারকার সুস্থতার জন্য ভক্তদের প্রর্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে, কিংবদন্তি এই গায়িকাকে প্রকাশ্যে কারও সমন্ধে কখনও কটু কথা তো দূরের কথা, কারও প্রতি রাগ করতে দেখা গেছে কি না তাও সন্দেহ আছে। তবে জানেন কি একটা সময়ে দিলীপ কুমারের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ ছিল তার? প্রয়াত এই বলিউড তারকার উপর রাগ করে তাঁর সঙ্গে ১৩ বছর কথা বলেননি লতা।
ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল দিলীপ-লতার। নিজের বোনের মতোই লতাকে স্নেহ করতেন দিলীপ। তাছাড়া বলিউডের এই কিংবদন্তিকে বহু বছর রাখিও পরিয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী। তবে এমন কী হল যার জন্য বাক্যালাপ বন্ধ হয়ে গেল এই দু'জনের মধ্যে?
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে একবার সলীল চৌধুরীর ‘মুসাফির’র (১৯৫৭) সেটে। ছবির ‘লাঘি না ছোট’ গানটি গাওয়ার জন্য দিলীপ কুমারকে নির্বাচন করা হয়েছিল, কিন্তু লতা জানতেন না তিনি দিলীপের সাথে গান গাইবেন।
উর্দু ভাষায় দুর্দান্ত পারদর্শী ছিলেন দিলীপ কুমার। সেই ভাষার উপর অসম্ভব দখল ছিল তাঁর। বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ অনিল বিশ্বাসকে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন লতা কোন শহরের? জবাবে জানতে পেরেছিলেন মহারাষ্ট্রের। শোনামাত্র তিনি মন্তব্য করেছিলেন মহারাষ্ট্রবাসীরা গান গাইতে ওস্তাদ হলেও তাঁদের উর্দু উচ্চারণ মোটেও অতটা সাবলীল নয়। কথাটা কোনওভাবে কানে গিয়েছিল লতার। এতটাই তাঁর খারাপ লেগেছিল যে তার দাদার সঙ্গে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এ ঘটনার পর নিজের উর্দু উচ্চারণ আরও নিখুঁত করে আলাদা করে উর্দুর প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর।
পরে ১৯৭০ সালে ফের কথা বলা শুরু হয় দিলীপ কুমার এবং লতা মঙ্গেশকরের।