বাক-প্রতিবন্ধী মানুষ কতটা সংগ্রাম করে বেঁচে থাকেন সেই গল্পে ভালোবাসা দিবসে নির্মাণ হয়েছে নাটক ‘হৃদ মাঝারে’। মাহমুদ মাহিনের গল্প ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দার এ সময়ের জনপ্রিয় জুটি মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল।
সুলতান এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হওয়ার পর নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন মুশফিক আর ফারহান। নাটকটিতে একজন বাক-প্রতিবন্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মুশফিক আর ফারহান বলছিলেন, ‘এটা বড় একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। প্রায় ৬১ মিনিটের নাটকে একজন বোবার চরিত্রে অভিনয় কঠিন ব্যাপার। যখন আমার হাতে স্ক্রিপ্ট আসে তখনই মনে হয়েছিল চ্যালেঞ্জিং কাজ।’
এই চরিত্রের জন্য কীভাবে প্রস্তুত হলেন এমন প্রশ্নে মুশফিক আর ফারহান জানিয়েছেন, ‘এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল শুটে একজন ইন্সট্রাক্টর থাকবে। কারণ সব সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ আমার জানা নেই। যাতে আমাকে ধরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু শুটিংয়ে যাওয়ার আগে আসলে কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা খুব বেশি চার্জ চাচ্ছিল। ধরেন, তিন দিনের জন্য দেড় লাখ, দুই লাখ করে চার্জ চাচ্ছিল। ভালো করেই জানেন, একটা নাটকে যে বাজেট থাকে তাতে এই চার্জ এফোরট করা কঠিন হয়ে যায়।’
এই অভিনেতা আরও যুক্ত করেছেন, ‘যখন শুটিং করতে যাই প্রতিটি শর্টের আগে গবেষণা করতে হয়েছে। ইউটিউব থেকে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজগুলো বের করে পারফর্ম করতে হয়েছে। খুব চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ ছিল। কারণ, মনের কথাগুলো ভাষায় যেভাবে প্রকাশ করতে পারি সেটা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে বোঝানো কঠিন হয়ে যায়। তবে উপভোগও করছি। নাটকটা করার পর যারা কথা বলতে পারে না তাদের কষ্টটা মন থেকে অনুভব করতে পেরেছি।’
এমন চ্যালেঞ্জিং কাজ করার পর কেমন সাড়া পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নে ফারহান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্, এখন অবধি অনেক মানুষ নাটকটা দেখেছে। যে পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, শিল্পীদের কাছ থেকে ফোন পাচ্ছি। সবাই আমার অভিনয়ের প্রশংসা করলো। অনেক রিভিউ পাচ্ছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে। দেশের বাইরে থেকেও সাড়া পাচ্ছি। এখন মনে হচ্ছে, শুটিংয়ের সময় কষ্টটা করতে হয়েছে সেটা সার্থক হয়েছে।’
মুশফিক আর ফারহান আরও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ভালোবাসা দিবসের প্রকাশ পেয়েছে তাঁর ‘ডিয়ার ভ্যালেন্টাইন’, ‘মনের সাথী’, ‘হৃদ মাঝারে’, ‘তুমি আসবে বলে’ সবগুলোই একটা থেকে আরেকটা আলাদা। অভিনয়, ডায়লগ, পোশাক কোনটার সঙ্গে কোনটার মিল নেই। এইটা আমি নিজে দায়িত্ব নিয়েই করেছি। কারণ একই জিনিস দেখলে দর্শকরা বিরক্ত হয়। তাই বিশেষ দিবসের কাজে তো সব সময় সচেতন থাকি।