মডেল-অভিনেত্রী হুমায়রা শাহ সুবাহর বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তার স্বামী ইলিয়াস হোসেন। পুরনো এক মামলার নথি সামনে এনে তিনি বলেছেন, সুবাহর আগে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে বিয়ের সময় বিষয়টি জানাননি সুবাহ।
১৬ মার্চ এক ভিডিও বার্তা২৪.কমকে ইলিয়াস বলেন, এর আগেও সুবাহর একটি বিয়ে হয়েছিল। এরপরেও আমাকে বিয়ের সময় কাবিননামায় সুবাহ নিজেকে কুমারী উল্লেখ করে। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। পুরনোর মামলার নথির বরাত দিয়ে ইলিয়াস বলেন, ওই মামলায় সুবাহ নিজেই উল্লেখ করেছেন সে বিবাহিত। এখন সুবাহ যদি বলে সে ওই সময় বিবাহিত ছিল না, তাহলে সে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তার ওই মামলাটি ছিল ভুয়া। তার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা। আর যদি বলে বিয়ে করছে, তাহলে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে কুমারী উল্লেখ করে। সেটার জন্য একটা প্রতারণা মামলা হবে। সুবাহর দেনমোহরের বিষয়ে ইলিয়াসের ভাষ্য, তিনি দেনমোহর পরিশোধ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সুবাহ বলেন, ইলিয়াস নিজেই আমার আগে তিন চারটা বিয়ে করেছে সবগুলারই খবর পত্রিকায় কাভারেজ হয়েছিল এবং সে সবার কাছ থেকেই ডলার এবং টাকা চাইত তার ১ম বউ আমেরিকার প্রবাসী নিশাত তাবাসসুম আলম বলছে সবখানে। তার দ্বিতীয় সুইডেনের স্ত্রী এবং তার মায়ের সাথে আমার কথা হয়েছিল তারাও বলেছে তাদের থেকেও সে বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা চাইতো সব রেকর্ড গুলো আমার কাছে আছে।
আমার যদি আগে বিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আগের বিয়ের কাবিননামা আছে? কাবিননামা বা রেজিস্ট্রির কাগজ ছাড়া তো বিয়ে হওয়ার কথা না। এইসব উল্টাপাল্টা মিথ্যা ছড়িয়ে সে আমার দেওয়া মামলাগুলো থেকে বাঁচতে চাচ্ছে যেন আমি মামলা তুলে নেই এবং দেনমোহরের টাকা না দেওয়ার ফন্দি করছে। সুবাহ আরও জানান, আমার আগের তিন বিয়ে হওয়া পুরুষকে আমি কিভাবে ফাঁসিয়ে বিয়ে করব তাও এত কম টাকা কাবিনে দেনমহরে? যদি ফাঁসিয়ে বিয়ে করতাম তাহলে দেনমোহর থাকতো ৭৭ লক্ষ টাকা।। এখন মাত্র টাকা ৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা থাকতো না হাহাহা।!!
সে দোষী না নির্দোষ ই সেটার আদালতে প্রমাণ হবে ইনশাআল্লাহ ।
আর আমার যদি কোন প্রকারের ক্ষয়ক্ষতি এবং আমি মরে যাই বা আমি গুম হয়ে যাই বা হারিয়ে যাই এর জন্য ইলিয়াস হোসেন এবং ইলিয়াস হোসেনের পুরো পরিবার দায়ী থাকবে আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আমাকে সে সব সময় ভয় ভীতি বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে এবং সামাজিক হেয় করছে আমি অনেক ভেঙে পড়েছি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ ডিসেম্বর বিয়ে করেন সুবাহ ও ইলিয়াস। এর আগেই দুইবার বিয়ে করেছিলেন তিনি। সুবাহর সঙ্গে এটি ছিল তার তৃতীয় বিয়ে। তবে বিয়ের একমাস না যেতেই সুবাহ ও ইলিয়াস পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। ইলিয়াসের অভিযোগ, তাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছেন সুবাহ।