৯০ দশকের শীর্ষ জনপ্রিয় মডেলদের একজন পল্লবকে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম প্যাকেজ নাটক ‘প্রাচীর পেরিয়ে’তে। পরবর্তীতে কয়েকশ’ নাটকে অভিনয় করলেও বিগত কয়েক বছর ধরে বিনোদন জগত থেকে স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়েছিলেন তিনি।
প্রিয় বড় ভাই এবং বাবার মৃত্যুর পর মুষড়ে পড়েছিলেন পল্লব। প্রাণপ্রিয় মা’কে সময় দিয়েছেন। তবে কাজের জায়গাতে সম্প্রতি নতুনভাবে নতুন উদ্যমে আবারো প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকজন নির্মাতার সাথে বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ কাজের ব্যাপারে চূড়ান্ত আলাপও ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছেন তিনি।
মাছরাঙা টেলিভিশনে ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’-এ অতিথি হয়ে পল্লব বলেন, ‘ছোটপর্দা, ওটিটি বা চলচ্চিত্র-যে মাধ্যমই হোক, দর্শককে আবারো চমকে দেয়ার মত কাজ উপহার দিতে চাই। আমার মনে হয়, দেশকে দেয়ার মত এখনো অনেক কিছু বাকি রয়েছে আমার’।
কী মিষ্টি মিষ্টি অপলক দৃষ্টি/অপরূপ সুন্দর লাগছে অথবা সাদা সাদা আরো সাদা কিংবা তোমার ওই রেশমী কালো চুল দেখে, পাগল আমি হবোই তো-পল্লবের করা টিভিসির বেশ কয়েকটি জিঙ্গেল আজও তার দর্শকরা মনে রেখেছে।
মডেলিংয়ে শুরুর অভিজ্ঞতা স্মরণ করে পল্লব বলেন, কিংবদন্তি আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় একটি তেলের বিজ্ঞাপনচিত্রে প্রথম কাজ করি। মনে পড়ে, শুটিং হয়েছিল চন্দ্রিমা উদ্যানে। ভোরবলো মায়ের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে ট্রাউজার পরে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। বাসায় কেউ কিছুই জানতেন না। পরে সবাই টিভিতে আমাকে দেখে অবাক হয়ে যান। পল্লব জানান, তার প্রথম পারিশ্রমিক ছিল ৩ হাজার টাকা। প্রায় ৪ মাস ধরে সেই টাকা খরচ করেছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে অভিনয় করার স্বপ্নও ছিল তার। প্রায় ২০টির মত সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধও হয়েছিলেন। তবে ‘বিয়ে বাড়ি’ নামের সিনেমাটি ছাড়া অন্য সিনেমাগুলোর শুটিং শুরুতে বা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।
শাহীন সুমন পরিচালিত ‘বিয়ে বাড়ি’ সিনেমায় শাকিব খান ও রোমানার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন পল্লব।
রুম্মান রশীদ খান ও সাকীর সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবাল-এর প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ এই পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের ৭ম দিন, সকাল ৭টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।