অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান। কিন্তু বাবার পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার দিনে দেশে ছিলেন না গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মেয়ে গায়িকা দিঠি। বাবাকে শেষ বিদায় জানাতে দেশে ফিরেছেন তিনি।
আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন তিনি।এসময় কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমার আব্বুকে আপনারা দলীয়ভাবে বিচার করবেন না। আব্বু কোনো দলের না। তিনি সার্বজনীন- দেশের সম্পদ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সেভাবেই মূল্যায়ন করেছেন।’
তিনি বলেন, “আব্বু আমাকে বলেছেন, ‘আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। রাষ্ট্রের অন্যতম সেরা ‘একুশে পদক’সহ কত যে পুরস্কার পেয়েছি তার কোনো হিসেব নেই। কিন্তু আমার একটাই আফসোস আছে মা। মৃত্যুর আগে যদি স্বাধীনতা পুরস্কারটা পেতাম তাহলে আমার জীবনের কোনো অপূর্ণতা থাকতো না। আমার বাবার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”
কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে এই গীতিকবি কন্যা আরও যোগ করেন, ‘আমার বাবা মানুষের এত প্রিয় ছিলেন। জীবনে কখনো কাউকে তার সমালোচনা করতে দেখিনি। আমরা গর্বিত তার সন্তান হতে পারে। সবার কাছে আমার বাবার জন্য দোয়া চাই।’
গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চিত্রনাট্য রচনা করেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। তার মৃত্যুতে দেশের শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।