অনু মেননের ছবি ‘নিয়ত’-এর শ্যুটিং শুরু করেছেন বিদ্যা বালান। সাবার কেরিয়ারেই ওঠানামা থাকে। একসময় একাধিক ফ্লপ ছবি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে সেই সব দিনগুলি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। যখন ‘হামারি আধুরি কাহানি’ বক্স অফিসে তেমন কাজ করেনি, মহেশ ভাটের সেই সময় ফোন করেছিলেন বিদ্যাকে। অভিনেত্রীর কথায়, পরিচালকের ফোন পেয়ে অঝোরে কেঁদেছিলেন তিনি।
২০০৫ সালে ‘পরিণীতা’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন বিদ্যা বালান। পরে তিনি লাগে রাহো মুন্না ভাই, গুরু, হেয় বেবি, ভুল ভুলাইয়া, কিসমত কানেকশন, পা, ইশকিয়া, নো ওয়ান কিলড জেসিকা এবং আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। দ্য ডার্টি পিকচার ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বিদ্যা জানিয়েছিলেন, ‘হামারি আধুরি কাহানি, ঘনচক্কর, শাদি কে সাইড এফেক্টস এবং ববি জাসুসও ফ্লপ হয়েছিল। রবিবার সকালে মহেশ ভাট সাহেব আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘বিদ্যা আমি দুঃখিত হামারি আধুরি কাহানি চলেনি।’ ফোন কাটার পর আমি ঝরঝরিয়ে কেঁদে ফেলি।'
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সিদ্ধার্থ ( তাঁর স্বামী) আমাকে চেম্বুরের সাই বাবার মন্দিরে নিয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল কিন্তু আমি যেভাবে গাড়িতে বসে কাঁদছিলাম, তা বাইরের বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। ভাবছিলাম, এখানে আমি কী ভুল করেছি এবং আগে কী করেছি। তারপর নিজেকেই বললাম, ভুলে যাও। তুমি সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতাটা অস্বীকার করতে পারবেন না। জার্নিটাকে উপভোগ করতে হবে। যদি একটি বিয়ে ভেঙ্গে যায় তবে আপনি বলতে পারবেন না যে এই দম্পতি একসাঙ্গে কোনও সুখের মুহূর্ত উপভোগ করেননি।
বিদ্যাকে শেষ দেখা গিয়েছিল একটি খুনের রহস্যে ঘেরা ছবি, জলসা-তে সাংবাদিক হিসেবে। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োতে মুক্তি পাওয়া ছবিতে তিনি শেফালি শাহের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। শীঘ্রই অভিনেত্রীকে ‘নিয়ত’ ছবিতে দেখা যাবে।