টানা ১২ ঘণ্টা হায়দরাবাদে ইডি-র অফিসে ছিলেন বিজয় দেবেরাকোন্ডা। যেখানে লাইগার নিয়ে তাঁকে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। অভিযোগ, দক্ষিণের এক রাজনীতিক বিদেশ থেকে আসা হাওয়ালার টাকা বিনিয়োগ করেছে লাইগার ছবিতে। অভিযোগ হাওলার টাকায় তৈরি করা হয়েছে লাইগার। আর এই বিষয়ে সত্যি কথা বের করার জন্যই ইডির অফিসে ডাক পড়ে বিজয়ের। আর সেখানে ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েন অভিনেতা, যা চলে টানা ১২ ঘণ্টা।
ইডি অফিসের বাইরে দাঁড়ানো সাংবাদিকদেরকে বিজয় বলেন, ‘অতি জনপ্রিয়তা অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আর এই নিয়ে তুমি কিছু করতেও পারবে না। আমি এটাকে একটা অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখছি। ওঁরা যখন আমাকে ডেকেছে আমি নিজের কর্তব্য করেছি। আমি তাঁদের সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছি।’
অভিযোগ, লাইগার’ নির্মাণে বিদেশি টাকার বিনিয়োগ করে সরাসরি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট বা FEMA (১৯৯৯)-এ লঙ্ঘন করেছে নির্মাতারা। ইডির তরফে কিছু সপ্তাহ আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল লাইগার-এর পরিচালক পুরি জগন্নাথ আর প্রযোজক চার্মি কৌরকে।
ইডি আধিকারিকদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর রয়েছে দুবাই থেকে টাকা এসেছে এই ছবির নির্মাণে। নাম উঠে এসেছে বেশ কিছু রাজনীতিবিদেরও। ‘কালো টাকা’ সাদা করতে ‘লাইগার’-এর নির্মাণে ওই সব রাজনীতির কারবারিরা টাকা ঢেলেছে, বলে ইডি সূত্রে খবর।
ছবিতে বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে দেখা মিলেছে অনন্যা পাণ্ডের। রিপোর্ট অনুসারে এই ছবি বানাতে খরচ হয়েছে ৫০ কোটি। যদিও বক্স অফিসে একেবারেই সাফল্য পায়নি ছবিখানা। মাত্র ২০ কোটিতেই খাতা বন্ধ হয়। চলতি বছরের অগস্ট মাসেই মুক্তি পেয়েছিল ‘লাইগার’।