বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত কনসার্ট মাতালেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান।
শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে মিরপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর খেলার মাঠে এ কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে গান পরিবেশন করে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করলেন জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পী। তাহসান মঞ্চে একে একে পরিবেশন করেন ‘সামনে তুমি দাঁড়িয়ে’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘কেন অবেলায় পেলাম তোমায়’, ‘বিন্দু’, ‘প্রেম তুমি’’ গানগুলো।
সবশেষে গেয়ে শোনান ‘আলো আমার আলো’ গান। সবাই মোবাইলের আলো জ্বেলে তাহসানের গানে কণ্ঠ মিলিয়েছেন। অন্যরকম এক আবহ তৈরি হয় ফুটবল মাঠে। তাঁর বিভিন্ন গানের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা তার সঙ্গে নেচে-গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
নতুন প্রজন্ম তাহসানের গানের ভক্ত। বিশেষ করে তরুণীদের কাছে তিনি রীতিমত ক্রাশ। কুষ্টিয়ায় তাঁর প্রথমবারের মতো আসা। মিরপুরে অনুষ্ঠিত এই তাহসানের কনসার্টে তার গানে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস তৈরি হয়।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান কেবলই দর্শক-শ্রোতার কাছে শুধু একজন কণ্ঠশিল্পী নন, তিনি একজন গুণী অভিনয় শিল্পীও। তার অভিনীত নাটক দারুণ জনপ্রিয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। আবার পেয়েছেন লেখক খ্যাতিও। প্রথম প্রকাশিত বই ‘অনুভূতির অভিধান’ স্থান পেয়েছে ‘বেস্ট সেলার’-এর তালিকায়। আরো অনেক পরিচয় ও সুখ্যাতি রয়েছে তাহসান খানের।
কনসার্টটির আয়োজন করে মিরপুর উপজেলা প্রশাসন। তাহসান ছাড়াও কনসার্টে দুষ্ট পোলাইনখ্যাত শিল্পী ঐশীও গান পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন তার বক্তব্যে বলেন, কামারুল আরেফীন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় চলছে। এই বাংলাদেশ আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিলো, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
মিরপুরের মানুষ আজ এই স্মার্ট মানুষ কে দেখতে এসেছে, স্মার্ট শিল্পীর গান শুনতে এসেছে। এখানকার মানুষ যেন তাহসানের গান শুনে মন ভরাতে চাই। আজকের এই ধামাকা অনুষ্ঠান আরও প্রাণবন্ত হয় এবং সুশৃঙ্খল হয় এজন্য সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
মিরপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হারুন অর রশীদ বলেন, মনোমুগ্ধকর এই অনুষ্ঠান নিশ্চয়ই মিরপুর উপজেলাবাসীকে আলাদা আনন্দ উল্লসিত উৎফুল্ল করে তুলবে।
গানের ফাঁকে ফাঁকে এ জনপ্রিয় শিল্পী তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আত্মহত্যার প্রবনতা কমাতে হবে। তিনি বলেন, জীবন সবার জন্য যুদ্ধ। এটা কিভাবে পাড়ি দিতে হবে সেটা নিজেকেই বেছে নিতে হবে।তোমাকে বাঁচতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে তোমার নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সমাজের জন্য। জীবনযুদ্ধে কখনো হারানোর নয়, একসাথে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যেতে হবে। তাই এই মিরপুর উপজেলার কেউ যেন আর আত্মহত্যা না করে।