মুক্তি পাওয়ার ১৭ দিনের মাথায় ১০০ কোটি ডলারের ব্যবসা করে ফেলেছে গ্রেটার ‘বার্বি’। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সিনেমার পরিবেশক বলেছেন, বক্স অফিসে সিনেমাটি যে এরকম সাফল্য পাবে তা কেউই ভাবেননি।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের তরফে রোববার জানানো হয়েছে, 'আড়াই সপ্তাহের মধ্যেই ‘বার্বি’ একশ কোটি ডলারের ব্যবসা করে ফেলেছে। তার মধ্যে ৫৪ কোটি ডলারের টিকিট বিক্রি হয়েছে অ্যামেরিকা ও ক্যানাডায়। বাকিটা বিশ্বের অন্য দেশে।'
‘লেডি বার্ড’, ‘লিটল উইমেন’-এর পর গ্রেটার তৃতীয় ছবি ‘বার্বি’। ‘বার্বি’ ছবিতেও পর্দায় ফুটে উঠেছে গ্রেটার নারীবাদী মননের ছাপ। ছবির মাধ্যমে পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে নারীবাদের পাঠ পড়িয়েছেন গ্রেটা। গুরুগম্ভীর জ্ঞান বিতরণের বদলে সহজ-সরল ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন তিনি। তার উপরে, ছবির জন্য গ্রেটা বেছে নিয়েছিলেন ‘বার্বি’র মতো এক বহুলচর্চিত চরিত্রকে, নারীদের কিশোরী থেকে তরুণী হয়ে ওঠার যাত্রায় যার প্রভাব বিতর্কিত হলেও তা উপেক্ষা করা যায় না।
‘বার্বি’ ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মার্গো রবি ও অভিনেতা রায়ান গজ়লিং। মুখ্য দুই চরিত্র ছাড়াও ‘বার্বি’-তে জায়গা পেয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বচরিত্রও। সহজ ভাষায় ‘ফেমিনিজ়ম’ তথা ‘নারীবাদ’-এর অত্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমেই সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছে গ্রেটার এই ছবি।
‘বার্বি’-ই প্রথম নারী পরিচালিত ছবি, যা বক্স অফিসে এই বিপুল অঙ্কের ব্যবসা করেছে। ছবির সারমর্ম ছা়ড়াও ‘বার্বি’-র সাফল্যের নেপথ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর বিপণন কৌশল। নিজের ছবির প্রচারের জন্য বুদ্ধিদীপ্ত সব বিপণন কৌশল বেছেছিলেন পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। পোশাকের ব্র্যান্ড থেকে তাবড় ফাস্ট ফুড সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে ছবির প্রচার করেছেন গ্রেটা। এমনকি, ছবির প্রচারের জন্য ‘গুগল’-এর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিল ‘বার্বি’র টিম। মুক্তি দিন কয়েক আগে ‘গুগল’-এ ‘বার্বি’ লিখে সার্চ করলেই গোলাপি রঙে ভরে উঠছিল কম্পিউটার, মোবাইল ও ট্যাবলেটের পর্দা। ছবির সাফল্যের ক্ষেত্রে এমন অব্যর্থ বিপণন কৌশলের অবদান কিছু কম নয়। পাশাপাশি, ‘বার্বি’-র মাধ্যমে আট থেকে আশির নারীদের সঙ্গে এক মেলবন্ধন স্থাপন করতে পেরেছেন গ্রেটা। স্বাভাবিক ভাবেই, ছবি দেখার জন্য প্রেক্ষাগ়ৃহে ভিড় জমিয়েছেন দর্শক।