নন্দিত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী নব্বই দশক থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরব রয়েছেন। সরকার দলীয় বিভিন্ন আন্দোলনে মাঠে থেকে ভূমিকা রাখছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ফেনী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রাচী। মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিনই তিনি ফরম সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন ৭ ফেব্রুয়ারি উপস্থিত হয়ে জমা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য রোকেয়া প্রাচী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্ব করছি। নারী হিসেবে নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছি, সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করছি। একই সঙ্গে শ্রমিক নেত্রী হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশন ও তৃণমূলের শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করছি। ছাত্রী জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যেহেতু আমার রাজনীতির ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ। এলাকাসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছি। মনোনয়ন পেলে কাজের পরিধি আরও সুদীর্ঘ হবে। আমি আশাবাদী দল আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন। মনোনয়ন না পেলেও বরাবরের মতো দলের হয়ে কাজ করব।
কথায় কথায় রোকেয়া প্রাচী জানালেন, তার বাবা আবদুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধুর আমলে মিরপুর পল্লবী শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে তার বাবাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শে অনুপ্রাণিত। বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে তিনিও ছিলেন।
এদিকে, রোকেয়া প্রাচীর প্রযোজিত ও নির্মিতব্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘রেণুর মুক্তিযুদ্ধ’। বেগম ফজিতুলন্নেসা মুজিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সপরিবারের মুক্তিযুদ্ধের বন্দি সময়ের সত্য কাহিনি এ সিনেমায় ফুটে উঠবে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সিনেমাটি সরকারি অনুদান পেয়েছে।
বর্তমানে তার অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় আছে দেশ ভাগ ও ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা ‘যাপিত জীবন’। সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব।