‘সাদা সাদা কালা কালা’র পর ফের হাশিম মাহমুদ-চঞ্চল চৌধুরী

সুরতাল, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-03-13 16:15:22

জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর ‘হাওয়া’ সিনেমাটি সুপারহিট হওয়ার পেছনে সহজ-সরল কথার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটির অবদানের কথা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন। গানটিতে চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতিও ছিল মুগ্ধ করার মতো।

‘সাদা সাদা কালা কালা’ প্রকাশের পরপরই ঝড় তোলে অন্তর্জালে। না, সেই ঝড় শুধু ফেসবুক-ইউটিউবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং ওই গান বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মুখে মুখে রটে যায়। যার রেশ এখনও কাটেনি সেভাবে।

ইমন চৌধুরীর সংগীতায়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দেন এরফান মৃধা শিবলু। তবে গানটির মূল স্রষ্টা তথা গীতিকার ও সুরকার হলেন হাশিম মাহমুদ। অগোচরে থাকা এই গুণী শিল্পীর খবরও সামনে আসে গানটির জনপ্রিয়তার সুবাদে।

দুই বছর পর আবারও হাশিম মাহমুদের গানে পাওয়া গেলো চঞ্চলকে। এবার শুধু অভিনয়ই নয়, গানটি গেয়েছেনও চঞ্চল। অভিনেতা চঞ্চল গায়ক হিসেবেও দক্ষ এ কথা এখন সবাই মোটামুটি জানেন। তার কণ্ঠে বেশ কিছু মৌলিক ও কাভার গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে।

চঞ্চল চৌধুরী

এবার তিনি কণ্ঠে তুললেন হাশিম মাহমুদের লেখা-সুরের ‘বাজি’ গানটি। গতকাল ১২ মার্চ রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে গানটি শেয়ার করেছেন চঞ্চল। সঙ্গে জানিয়েছেন, কীভাবে এই গান তার কণ্ঠে উঠলো, সেই গল্প।

চঞ্চল বললেন, ‘অনেক দিন আগে বিনোদের (সংগীত পরিচালক) স্টুডিওতে একটা অনুষ্ঠানের রিহার্সেল করতে গিয়ে হাশিম মাহমুদের এই গানটি পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই রেকর্ড করেছিলাম। এরপর নিজে নিজেই ভিডিও বানিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। আজ (১২ মার্চ) সবার জন্য পোস্ট করলাম।’

‘গঙ্গা যদি যাইতে পারি, তোমায় আমি পাইতে পারি, ভ্রমর কালো নদী/ তরী যদি বাইতে পারি, সাদা পাল উড়াইতে পারি, ভ্রমর কালো নদী/ নদীতে তুফান উঠিলে, পানি যদি না সেচিলে, অঘটনেও রাজি/ তোমায় আমি পাইতে পারি বাজি/’—এমন কথার গানটি এর আগেও বিভিন্ন শিল্পী গেয়েছেন। চঞ্চলও তার ভালোলাগা থেকে গাইলেন। নতুন করে এর সংগীতায়োজন করেছেন বিনোদ রায়। ভিডিও ধারণ করেছেন তাহসিন।

হাশিম মাহমুদ

গানটির স্রষ্টা হাশিম মাহমুদকে নিয়ে অভিনেতার ভাষ্য, “হাশিম মাহমুদের গান ছড়িয়ে পড়ুক সবার প্রাণে। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ কিংবা ‘ফুল ফুটেছে গন্ধে সারা মন’ এসব গানের স্রষ্টা তিনি।”

বলা দরকার, হাশিম মাহমুদের লেখা-সুরের ‘ফুল ফুটেছে’ (কথা কইও না) গানটি নতুন আয়োজনে প্রকাশ করা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার মতো বড় অনুষ্ঠানে। যেটার অন্তর্জালে শুধু কোকের চ্যানেলেই ৫৬ মিলিয়নের বেশি ভিউ।

উল্লেখ্য, নব্বই দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পরিচিত মুখ ছিলেন হাশিম মাহমুদ। নিজের লেখা-সুরের গান গেয়ে তিনি সবাইকে মুগ্ধ করে রাখতেন। ‘বৈরাগী’ নামে তার একটি গানের দলও ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে অসুস্থতার কারণে নিজের গানই ভুলে যান তিনি। সেই অসুস্থতা নিয়েই নিভৃতে নারায়ণগঞ্জে এখন তার বসবাস।

এ সম্পর্কিত আরও খবর