১ মে দিবস ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’। প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী
যখনই কোন আন্দোলন হয়, তার মানে হলো দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া একজন জনতা আন্দোলনে নামে তাদের অধিকার আদায়ে। মে দিবসেও পাশ্চাত্যের দিন মজুররা তাদের ওপর বছরের পর বছর ঘটে যাওয়া অণ্যায়ের প্রতিবাদ এবং অধিকার আদায়ের লড়ায়ে নেমেছিলেন। সেই থেকে এই দিনটি বিশ্ব শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। কিন্তু আজও কি আমরা শ্রমিকদের সঠিক মর্যাদা বা অধিকার দিতে পারছি?
আমি আমার দেশিয় কনটেক্সট থেকে একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। সেটি বলার পর হয়তো অনেকে আমাকে আমার বিরুদ্ধেও দু-চারটি কথা বলতে পারেন। কিন্তু তাই বলে বিষয়টা উত্থাপন না করলে তো হবে না!
আমরা অবশ্যই নানা পেশার মানুষের অধিকারের কথা বলি। তাদের ন্যায্য পাওনা, কর্মঘন্টা, সুযোগ সুবিধার কথা বলি। কিন্তু যারা হাউজওয়াইফ বা গৃহিণী আছেন, তাদেরকে কি আজও আমরা আলাদা কোন পেশা হিসেবে মূল্যায়ণ করি?
‘গৃহিণী’ও যে একটি পেশা সেটাই যেখানে ভাবতে পারি না, সেখানে তার অধিকারের প্রশ্ন তো অনেক দূরের কথা! আপনি সব হাউজওয়াইফকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের অধিকাংশই একই কথাই বলবে। তাদেরও একটু অবসর চাই, তাদেরও একটু মি টাইম চাই।
তারা বছরের পর বছর ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শুধু কাজই করে। তাদের কোন কর্মঘণ্টা নেই, কোন বেতন ভাতা নেই, বোনাস নেই, বেশিরভাগ সময় অ্যাপ্রিসিয়েশনও নেই।
এমনকি যে পরিবারে স্বামী হয়ত বেকার, সেখানেও ওই স্ত্রীকেই সব কাজ করতে হয়। স্বামী তার নিজের কাজগুলোও করে না। এখনই সময় দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়ে গৃহিণীদেরও একটু অবসরের সুযোগ করে দেওয়া।