গত ১ মে নেটফ্লিক্সের কাঙ্খিত ওয়েব সিরিজ ‘হীরামন্ডি’ মুক্তির পর থেকেই অন্তর্জাল জুড়ে টানা আলোচনায় রয়েছে এটি। তবে প্রশংসার পাশাপাশি দিন দিন একটি সমালোচনাও বাড়ছে।
ভাগ্নিকে নিজের প্রথম ওটিটি প্রজেক্টে নেওয়ায় স্বজনপোষণের অপবাদ জুঁটল বলিউডের প্রখ্যাত নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালীর কপালে!
‘হীরামন্ডি’ ওয়েব সিরিজে আলমজেব চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে শারমিন সেহগালকে। তিনি বড় পর্দার পরিচিত মুখ নন। তবে অভিনেত্রী হিসাবে এখনও জনপ্রিয় না হয়ে ওঠা শার্মিন শৈশব থেকেই বলিউডের সঙ্গে যুক্ত।
শারমিনের মা বেলা সেহগাল হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের সম্পাদক। আর তার সঞ্জয় লীলা বানশালী। মামার প্রযোজিত ‘মালাল’ ছবির মাধ্যমেই কয়েক বছর আগে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছিল শারমিনের। তবে সে ছবি সেভাবে সফল হয়নি। তাই সে সময় শারমিন কারও নজরে আসেননি। কিন্তু এবার ‘হীরামন্ডি’র মতো বিশাল প্রজেক্টে তাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নেওয়ায় তা সহজেই সবার নজরে পড়েছে। আর তাতেই উড়ে এল কটাক্ষ।
অনেকেই দাবি করেছেন, কেবলমাত্র তারকা পরিচালকের ভাগ্নি হওয়ার সুবাদে এই চরিত্রে কাস্ট করা উচিত হয়নি শারমিনকে। কেউ আবার শারমিনকে বলেছেন ‘ভাবলেশহীন’। সমস্যা রয়েছে তার বাচন ভঙ্গিতেও। কেউ কেউ তো প্রশ্ন তুলেছেন বানশালীর জহুরি চোখকে। নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে যাচ্ছে শারমিনের ইনস্টাগ্রাম। শেষে কমেন্ট বক্স বন্ধ করে দিতে বাধ্য হযেছেন অভিনেত্রী।
একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন থিয়েটার করতে শুরু করেন শারমিন। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য নিউ ইয়র্কে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন। কানাঘুষো শোনা যায়, ছোটবেলা থেকেই সঞ্জয়ের সঙ্গে ছবির সেটে উপস্থিত থাকতেন শারমিন। সঞ্জয় যখন ‘দেবদাস’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত, তখন ছবির সেটে গিয়েছিলেন শারমিন। ছোট থেকে অভিনয়ের পরিবেশে বেড়ে ওঠায় নিজেও একদিন অভিনয় করবেন বলেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেন।